‘বাঙালি জাতিকে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ দেখিয়েছিলেন মণি সিংহ’

টিএসসিতে কমরেড মণি সিংহ স্মরণসভায় বক্তারাকমরেড মণি সিংহের নেতৃত্বেই বাঙালি জাতির সশস্ত্র সংগ্রামের সূচনা হয়েছিলে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, ‘কেবল ব্রিটিশ আমলেই নয়, পাকিস্তান আমলেও কমরেড মণি সিংহকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। তবে তিনিই বাঙালি জাতিতে সশস্ত্র সংগ্রামের পথ দেখিয়েছেন। যদিও ইতিহাসে তার অবদানকে এখন তুলে ধরার কোনও উদ্যোগ নেই।’
শনিবার (১৩ জানুয়ারি) বিকালে বাংলাদেশে কমিউনিস্ট আন্দোলনের অন্যতম প্রাণপুরুষ ও ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম নেতা কমরেড মণি সিংহের ২৭তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাবি ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) আয়োজিত স্মরণসভায় মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) সাবেক এই ভিপি বলেন, ‘ব্রিটিশ আমলে তাকে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছিল, আত্মগোপনেও থাকতে হয়েছিল। এমনকি পাকিস্তান আমলেও তাকে গ্রেফতার করে আটকে রাখা হয়েছিল। ব্রিটিশ ও পাকিস্তানিরা কখনোই চায়নি যে মানুষ তার কথা শুনুক। তাকে জেলখানায় রাখা হতো যেন তিনি কলকাতার সাধারণ মানুষের কাছে যেতে না পারেন।’
মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম আরও বলেন, ‘কমরেড মণি সিংহের পরিচয় ও তার অবদানকে তুলে ধরার সুযোগ থেকে দেশবাসীকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। ইতিহাস এখনভাবে লেখা হচ্ছে যেখানে তার কোনও অবদানের কথা জানা যায় না।’
তিনি আরও বলেন, ‘‘পাকিস্তান আমলে স্লোগান ছিল— ‘কেউ খাবে কেউ খাবে না, তা হবে না তা হবে না’। এ স্লোগান বাস্তবায়ন করতে হবে। বর্তমান সরকার শুধু বলে, গণতন্ত্র দরকার নেই, শুধু উন্নয়ন করতে হবে। আসলে উন্নয়নও হচ্ছে না। উন্নয়ন হলেও তা অল্প কিছু মানুষের হচ্ছে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষক ড. এম এম আকাশের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন মণি সিংহের ছেলে ড. দিবালক রায় সিংহ, ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি জিলানী শুভ, জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য জাহিদুল হক মিলু, কমিউনিস্ট পার্টির যুগ্ম-আহবায়ক অসিত বড়ুন রায়, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদের সহ-সভাপতি রেখা চৌধুরী প্রমুখ।
আরও পড়ুন-
নির্বাচনকালীন সরকার: কী আছে সংবিধানে