তবে মন্ত্রী ব্যক্তিগতভাবে নাকি মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ দায়িত্ব নিলেন জানতে চাইলে মাইদুল ইসলাম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘তিনি তার কথাই বলেছেন। মন্ত্রণালয়ের কথা বলেননি, তবে তিনি তো স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান। তিনি বলার মানেই হচ্ছে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে দায়িত্ব নিয়েছেন।’
একইসঙ্গে মন্ত্রী এই হামলায় দোষীদের দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবিও করেছেন। এর আগে ওয়াহিদা খানমকে বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে রংপুর থেকে ঢাকায় আনা হয়। আন্তবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।
প্রসঙ্গত, বুধবার দিনগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরে ইউএনও’র সরকারি বাসভবনে ঢুকে হামলা চালায় দুর্বৃত্তরা। প্রথমে গেটে দারোয়ানকে বেঁধে ফেলে তারা। পরে বাসার পেছনে গিয়ে মই দিয়ে উঠে ভেনটিলেটর ভেঙে বাসায় প্রবেশ করে হামলাকারীরা। বাসায় ঢুকে ভারী ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে ইউএনও ওয়াহিদাকে। মেয়েকে বাঁচাতে এগিয়ে গেলে বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকেও (৭০) জখম করে দুর্বৃত্তরা। পরে ওয়াহিদা খানম অচেতন হয়ে পড়লে মৃত ভেবে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। ভোরে স্থানীয়রা টের পেয়ে তাদের উদ্ধার করেন।
আরও পড়ুন:
ইউএনও ও তার বাবাকে কুপিয়ে ‘মৃত ভেবে’ ফেলে রেখে যায় হামলাকারীরা
ইউএনও ওয়াহিদার অবস্থা সংকটাপন্ন, বিদেশে নেওয়ার পরিস্থিতিও নেই