বেসরকারি পর্যায়ে ১০ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত

সরকার বেসরকারি পর্যায়ে আপাতত ১০ লাখ টন চাল আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে নিশ্চিত করেছেন খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম।
তিনি জানিয়েছেন, আপাতত প্রাথমিকভাবে ২৫ শতাংশ আমদানি শুল্কে ১০ লাখ টন চাল বেসরকারি পর্যায়ে আমদানির প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। বাজার দর স্থিতিশীল রাখার স্বার্থে খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রয়োজনে এ পরিমাণ কমাতে বা বাড়াতে পারে। এ বিষয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে (এনবিআর) চিঠি লেখা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন খাদ্য সচিব। 
তিনি জানান, গত সপ্তাহে খাদ্যশস্যের সামগ্রিক ব্যবস্থাপনা বিষয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। ওই সিদ্ধান্তের আলোকেই এনবিআরকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। 
এ প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার এক সভায় জানিয়েছিলেন, মোটা চালের ব্যবহার কমে এখন চিকন চালের চাহিদা বেড়েছে। যদি বেসরকারিভাবে নন-বাসমতি সিদ্ধ বা আতপ সরু চাল আমদানি করা হয়, তাহলে বাজারে দাম কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হবে।
খাদ্য সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম জানিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের মাধ্যমে ৫ লাখ টন এবং বৈদেশিক সংগ্রহের মাধ্যমে আরও ৫ লাখ টন মিলে মোট ১০ লাখ টন চালের সংগ্রহ করে নিজস্ব মজুত গড়ে তোলা হবে। কৃষককে ধানের ন্যায্যমূল্য দেওয়া এবং একই সঙ্গে বাজার নিয়ন্ত্রণে বেসরকারি পর্যায়ে চাল আমদানি প্রয়োজন।