সাফল্য বিবেচনায় উত্তর এগিয়ে


1নাগরিক সেবার মান আরও উন্নত করার লক্ষে ২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয় ঢাকা উত্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচন। এতে ঢাকা দক্ষিণে মোহাম্মদ সাঈদ খোকন ও ঢাকা উত্তরে আনিসুল হক মেয়র নির্বাচিত হন। নির্বাচনি ইশতেহারে দুই মেয়রই নগরবাসীকে দূষণমুক্ত এবং পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। ৬ মে দায়িত্ব গ্রহণের এক বছর পর তারা প্রতিশ্রুতির কতটুকু পূরণ করতে পেরেছেন তা জানতে সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউন এক জরিপ পরিচালনা করে।
জরিপে দেখা যায়, সামগ্রিক দিক বিবেচনায় উত্তর সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। অন্যদিকে অধিকাংশ কাজেই পিছিয়ে আছে দক্ষিণ। ওই এলাকার বাসিন্দারা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই প্রকাশ করেছেন অসন্তুষ্টি।

জলাবদ্ধতা এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নতি হয়েছে উত্তরে

জলাবদ্ধতাকে অন্যতম একটি প্রধান সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত করে তা নিরসনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুই মেয়র। তবে জরিপের তথ্য অনুযায়ী এই ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তরের মেয়র আনিসুল হকই এগিয়ে আছেন। জরিপে অংশগ্রহণকারী উত্তরের ৫৭ দশমিক ৯৪ শতাংশ বাসিন্দা গত এক বছরে জলাবদ্ধতা সমস্যার উন্নতি ঘটেছে বলে জানিয়েছেন, আর ৫৮.৫০ শতাংশ বাসিন্দা বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। তবে এই অংশের বেশিরভাগ বাসিন্দাই গণপরিবহনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে সন্তুষ্ট নন। ৫৯ দশমিক ২৮ শতাংশ মনে করেন, তাদের এলাকায় গণপরিবহন সঠিক জায়গায় থামছে না। আর ৮৩ দশমিক ১৭ শতাংশ বাসিন্দা জানিয়েছেন, তাদের এলাকার যাত্রী ছাউনিগুলো বসার উপযোগী নয়।

প্রথম বছরে বলার মতো সাফল্য নেই দক্ষিণের

 

 

উত্তর সিটি করপোরেশনের কিছু কার্যক্রমে বাসিন্দারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করলেও ঢাকা দক্ষিণে এই চিত্র কিছুটা ভিন্ন। এই সিটি করপোরেশনের ৫১ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাসিন্দা জানিয়েছেন, গত একবছরে জলাবদ্ধতা সমস্যার কোনও উন্নতি তাদের চোখে পড়েনি। বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও এই অংশের ৫৪ দশমিক ২৮ শতাংশ বাসিন্দা তাদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন। বিপরীতে ৪৮ দশমিক ৬৭ শতাংশ জলাবদ্ধতার ক্ষেত্রে এবং ৪৫ দশমিক ৭২ শতাংশ বর্জ্য ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রে তাদের সন্তুষ্টির কথা জানিয়েছেন।

এদিকে ৬২ দশমিক ৯৪ শতাংশ জানিয়েছেন, তাদের এলাকায় গণপরিবহন ঠিক জায়গায় থামছে না। আর ৯০ দশমিক ৯৪ শতাংশ তাদের এলাকার যাত্রী ছাউনিগুলো বসার উপযুক্ত নয় বলে মনে করেন।

জরিপ পরিচালনা:  বাংলা ট্রিবিউন

জরিপ পরিচালনার সময়কাল: ২০ এপ্রিল- ২৫ এপ্রিল       

নমুনা (sample) সংগ্রহের প্রক্রিয়া:


১. প্রতিটি সিটি করপোরেশনে ১৮০০ জনের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়।

২. সবগুলো ওয়ার্ড থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

৩. নারী-পুরুষ অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা সমান রাখা হয়েছে। অর্থাৎ নারী ৯০০ জন এবং পুরুষ ৯০০ জন।

৪. দৈবচয়ন পদ্ধতিতে নির্বাচিত প্রতি অংশগ্রহণকারীর উত্তর নেওয়ার পর ৫ মিনিট অন্তর অংশগ্রহণকারী নির্বাচন করা হয়।

৫. জরিপকারীরা একই স্থানে সর্বোচ্চ ১ ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।