একান্ত সাক্ষাৎকারে সাদেক খান

শিগগিরই হচ্ছে না ঢাকা মহানগর আ. লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি

সাদেক খানঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি শিগগিরই হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের (উত্তর) সাধারণ সম্পাদক সাদেক খান। তিনি বলেন, পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে কাজ করছেন উত্তরের সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক ফারুক খান। আমার জানামতে এখনও খসড়া কমিটি চূড়ান্ত হয়নি। তাই বোধ করছি খুব তাড়াতাড়ি পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা সম্ভব হবে না।
তিনি জানান, মহানগর কমিটি নিয়ে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের খুব একটা পরামর্শ নেওয়া হচ্ছে না। দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারাই খসড়া কমিটি করছেন।
মহানগর আওয়ামী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি, মহানগরের রাজনীতিসহ নানা বিষয়ে সম্প্রতি বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে একান্তে কথা বলেন সাদেক খান।
বাংলা ট্রিবিউন: ঢাকা মহানগর উত্তরে কেমন নেতৃত্ব চান?
সাদেক খান: অভিজ্ঞতার জন্যে পুরনো কিছু নেতাও থাকবেন আর কাজ করার জন্যে তরুণ নেতাও থাকবেন কমিটিতে। তাহলে সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। আমি প্রবীন-নবীনের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি আশা করি।
বাংলা ট্রিবিউন: পূর্ণাঙ্গ কমিটি নিয়ে বাণিজ্যের কথা শোনা যায়, এ ব্যাপারে আপনার মন্তব্য কী?

সাদেক খান: নানাভাবে এসব অভিযোগ শোনা যায়। তবে এসব একেবারেই মিথ্যা। এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কোনও তথ্য নেই।

বাংলা ট্রিবিউন: মহানগরের রাজনীতিতে সবসময়ই কোন্দল দেখা যায়, কোন্দলমুক্ত রাজনীতি উপহার দিতে আপনার ভূমিকে কি হবে?

সাদেক খান: আমি মহানগরের রাজনীতিকে কোন্দলমুক্ত করতেই দায়িত্বে এসেছি। উত্তরের রাজনীতিতে কোন্দল শব্দটি কখনও উচ্চরিত হবে না। এখানে গ্রুপ থাকবে একটি, সেটা হলো জননেত্রী শেখ হাসিনার গ্রুপ।

বাংলা ট্রিবিউন: ঢাকা মহানগরের নেতা হিসেবে ভবিষ্যৎ আন্দোলন-সংগ্রাম মোকাবেলা করতে কী ধরনের পদক্ষেপ নেবেন?

সাদেক খান: অযোক্তিক আন্দোলন-সংগ্রাম হলে দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে। আমি রাজপথের লোক রাজপথে থেকেই মোকাবেলা করব। আন্দোলন-সংগ্রামের ধরন দেখে মোকাবেলার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

বাংলা ট্রিবিউন: নেতা হওয়ার পর বিশেষ কোনও লক্ষ্য উদ্দেশ্য নিয়ে কি কাজ করছেন?

সাদেক খান: উদ্দেশ্য একটাই- দলকে সুসংগঠিত করা। আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করা। আওয়ামী লীগকে সংগঠন হিসেবে জনগণের দোরগোড়ায় নিয়ে যাওয়া।

বাংলা ট্রিবিউন: মহানগরের রাজনীতিতে সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে গ্রুপিং দেখা গেছে। আপনি ও আপনার সভাপতির মধ্যে ভবিষ্যতে এমন কিছু কি হতে পারে?

সাদেক খান: আমাদের (সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক) দু’জনের মধ্যে দলাদলি হওয়ার আশঙ্কা নেই। রাজনীতি করে আমার কোনও চাওয়া-পাওয়া নেই। সবই আছে আমার। রাজনীতি করি সেবার মানসিকতা নিয়ে। ব্যবসার মানসিকতা নিয়ে নয়। আর সবচেয়ে বড় কথা হলো- আমরা সবাই শেখ হাসিনার সৈনিক। তাই শেখ হাসিনার হাতকে, আওয়ামী লীগকে সুসংগঠিত করাই হলো আমাদের কাজ। দলাদলি করার নাম রাজনীতি নয়। আওয়ামী লীগের একটি আদর্শ-উদ্দেশ্য আছে।

বাংলা ট্রিবিউন: রাজনীতি, পদ-পদবীকে অনেকেই ব্যবসা মনে করেন, ভাগ্য বদলের সুযোগ মনে করেন, এ বিষয়ে আপনার মত কী?

সাদেক খান: বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনুসারী আমি। তাই রাজনীতি করতে এসেছি। আমার কোনও লোভ-লালসা নেই। নেতাকর্মীদের কাছ থেকে অথবা দল বেচে পয়সা বানানোর কথা চিন্তাই করতে পারি না।

আরও পড়ুন: 

সরকারি হাসপাতালে নার্স নিয়োগে ‘হযবরল’

সুনামগঞ্জে ভোট গণনার সময়ে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষ, নিহত ১

এজে/আপ- এপিএইচ/