গুলশান হামলার এক বছরে জাপান দূতাবাস কোনও আয়োজন করছে কিনা, জানতে চাইলে দূতাবাসটির একজন কূটনীতিক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হচ্ছে বাংলাদেশে বসবাসরত জাপানিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। এ কারণে আমরা কোনও আয়োজন করব কিনা, সে বিষয়ে আমরা কোনও তথ্য দেবো না।’
ওই কূটনীতিক বলেন, ‘‘এ ধরনের ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরও বাংলাদেশে জাপানের সহযোগিতা কমেনি এবং এ কারণে আমরা যতদূরসম্ভব ‘লো প্রোফাইল’ বজায় রাখছি।’’
এদিকে সরকারি একটি সূত্র জানায়, গুলশান হামলার ঘটনাস্থল হলি আর্টিজানে একটি স্মৃতিস্থম্ভ বা প্লাক বসাতে চায় কয়েকটি ইতালিয়ান পরিবার। তারা এ বিষয়ে সরকারের সঙ্গে যোগাযোগও করেছিল। বিষয়টি এখনও বিবেচনাধীন আছে। তবে বিভিন্ন ধরনের জটিলতার কারণে হলি আর্টিজানে কোনও স্থাপনা বসানোর সম্ভাবনা অত্যন্ত কম।
সরকারি ওই সূত্র বলেন, ‘হলি আর্টিজান একটি ব্যক্তিমালিকানাধীন বাড়ি এবং সেখানে কোনও ধরনের স্থাপনা বসানোর বিষয়টি ওই বাড়ির মালিকের এখতিয়ার। এখানে সরকারের তেমন কিছু করার নেই।’
এ বিষয়ে জানতে ইতালিয়ান দূতাবাসে ইমেইল করা হলে এর কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।
আরও পড়ুন-
অবিন্তা নেই, বেঁচে আছে তার স্বপ্ন
তুমি কোথায়, গুলশানে জঙ্গি হামলা!
দুর্বিসহ স্মৃতি নিয়ে বেঁচে আছেন তারা
‘হয় আমি মরবো, না হয় ওদের মারবো’
এসি রবিউলের সন্তানদের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত
শরীরে স্প্লিন্টার নিয়ে বেঁচে আছেন এডিসি আব্দুল আহাদ
হলি আর্টিজানে হামলার পরিকল্পনা রাজশাহীতে, কৌশল নির্ধারণ গাইবান্ধায়, চূড়ান্ত অপারেশন প্ল্যান ঢাকায়
/টিআর/