‘তিন মাসের মধ্যে রির্সোট পরিচালনার নীতিমালা হবে’

ট্যুরিজম রির্সোট ইন্ড্রাস্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত অনু্ষ্ঠান

‘দেশে হোটেল ও রেস্তোরা পরিচালনায় আইন থাকলেও রির্সোটের জন্য কোনও আইন নেই। বিদ্যমান আইনের বিধিতে রির্সোটের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। ফলে  নতুন আইনের প্রয়োজন হবে না। একজন  অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে একটি কমিটি করে এ বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আগামী তিন মাসের মধ্য রির্সোট পরিচালনার নীতিমালা করা হবে।’ রবিবার (১৭ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর মহাখালিতে ট্যুরিজম রির্সোট ইন্ড্রাস্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ আয়োজিত এক অনু্ষ্ঠানে এসব তথ্য জানান বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমার চেষ্টা করেছি পর্যটন শিল্পকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে। অভ্যন্তরীণ পর্যটনও দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রায় এক কোটি পর্যটক দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমন করেছে। জঙ্গি হামলার কারণে আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ ছিল এটা। আমরা মানবতার জন্য রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিচ্ছি। কিন্তু  সেই জায়গাগুলোও পর্যটনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।’

মন্ত্রী আরও বলেন, ‘হোটেল ও রেস্তোরা আইন যেটি আছে সেটির বিধিতে রির্সোটের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত করা সম্ভব। তাহলে রির্সোটগুলোকে আইনের আওতায় আনা সম্ভব হবে। আগামী তিন মাসের মধ্য আমরা এটি সমাধান করবো।’ একই সঙ্গে পর্যটন আইনের বিষয়েও দ্রুত উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব এস এম গোলাম ফারুক বলেন, ‘পর্যটনের বিভিন্ন বিষয়ে যতটুকু আইন বা নীতিমালা হয়েছে তা সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছে। আইন হবে সহায়তামূলক, আইন যেন প্রতিবন্ধকতামূলক না হয় সেটি বিবেচনা করা হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘পর্যটন হচ্ছে সেবা খাত। এ খাতের মাধ্যমে দেশের আয় বাড়ানো প্রয়োজন। পর্যটন অঞ্চলে কোনও স্থাপনা করতে হলে আগে থেকে অনুমতি নিতে হবে। এ বিষয়ে সকলের ভূমিকা প্রয়োজন। পর্যটন আইন নিয়েও দ্রুত কাজ শুরু করা হবে। সেক্ষেত্রে অনলাইনে সকলের মতামত নেওয়া হবে।’

ট্যুরিজম রির্সোট ইন্ড্রাস্টি অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের সভাপতি খবির উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘রির্সোটগুলো পরিচালিক হচ্ছে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে। আমরা সরকারের কোষাগারে ভ্যাট ও ট্যাক্স দেই। নীতিমালা হলে সরকার আরও বেশি রাজস্ব সুবিধা পাবে। আমরা আশা করছি দ্রুত সময়ের মধ্যে আইন বা বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে।’

বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আখতারুজ্জামান খান কবির বলেন, ‘আইনের প্রয়োজন আছে, তবে সেটা শুধু রির্সোটের জন্য আলাদা হবে নাকি সব কিছু মিলিয়ে করা হবে তা আলোচনার প্রয়োজন আছে। যারা ট্যুর অপারেটর তারা শুধু সিটি কর্পোরেশন থেকে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ব্যবসা করছেন, এ  ক্ষেত্রেও আলাদা কোনও আইন বা নীতিমালা নেই।’   

এ ব্যাপারে বেঙ্গল ট্যুরের পরিচালক মাসুদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের দুভোর্গ যে আমরা পর্যটন আইন করতে পারিনি। পর্যটন আইন করতে পারলে রির্সোট, হোটেল, ট্যুর অপারেটরমহ সবকিছুর নীতিমালা নির্ধারণ সহজ হতো। পার্বত্য অঞ্চলে হোটেল ও রির্সোট হচ্ছে, কিন্তু সেখানে কী আইন মেনে করা হচ্ছে? আইন মেনে হলে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর লোকদের পক্ষ থেকে অভিযোগ আসতো না।’ আইন না থাকায় হোটেল বা রির্সোটের শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিত হচ্ছে না বলেও অভিযোত তার।

তবে এখন পর্যন্ত পর্যটন আইন না হলেও এ আইনের খসড়া প্রণয়ন করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন ট্যুরিজম বোর্ডের সদস্য জামিল আহমেদ।