ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত কিছু বলা হয়নি: আইনমন্ত্রী

আইনমন্ত্রী আনিসুল হকপ্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার ছুটির বিষয়ে প্রজ্ঞাপনে অতিরিক্ত কিছু বলা হয়নি, প্রধান বিচারপতি যা চেয়েছেন,তা-ই প্রজ্ঞাপনে প্রতিস্থাপন করা হয়েছে। এ কথা জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
হোটেল সোনারগাঁওয়ে লেজিসলেটিভ ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আনিসুল হক সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘একইসঙ্গে ছুটি নেওয়া, তা বাড়ানো এবং বিদেশ যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার চাওয়া অনুযায়ী সরকারের প্রজ্ঞাপন হয়েছে।’এ নিয়ে ‘রাজনীতি’ না করার আহ্বান জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী।
এর আগে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত সরকারি আদেশ (জিও)বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার দিকে আইন মন্ত্রণালয় থেকে জারি করা হয়।
প্রজ্ঞাপনে বলা আছে, ‘গণপ্রজাততন্ত্রী বাংলাদেশের মাননীয় রাষ্ট্রপতি সংবিধানের ৯৭ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি জনাব সুরেন্দ্র কুমার সিনহা- এর বর্ধিত ছুটিতে বিদেশে অবস্থানকালীন সময়ে আগামী ২ নভেম্বর ২০১৭  তারিখ হতে ১০ নভেম্বর ২০১৭ খ্রি. তারিখ পর্যন্ত, অথবা মহোদয় পুনরায় স্বীয় কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, আপিল বিভাগের কর্মে প্রবীণতম বিচারক মাননীয় বিচারপতি জনাব মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞাকে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতির কার্যভার পালনের দায়িত্ব প্রদান করেছেন।’

প্রধান বিচারপতি কবে কোন দেশে যাবেন সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউনাইটেড স্টেটস অব আমেরিকা এবং ইউনাইটেড কিংডম- এই চারটি দেশে যেতে চান প্রধান বিচারপতি। আগামীকাল (১৩ অক্টোবর) দেশ ত্যাগ করতে চান এবং ১০ নভেম্বর দেশে ফিরে আসবেন বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে। আগে যেহেতু ছুটি নিয়েছিলেন ১ নভেম্বর পর্যন্ত, সেই ছুটিটা এক্সটেন্ড করে ১০ নভেম্বর করা হয়েছে।’
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এবং দুপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আইনমন্ত্রী আনিসুল হক প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার বিষয়ে জিও (গভর্নমেন্ট অর্ডার) জারির ফাইলে সই করেন।
উল্লেখ্য, ২৫ দিনের  অবকাশ শেষে ৩ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্ট খোলার দিনই অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১ নভেম্বর পর্যন্ত এক মাসের ছুটি চেয়ে রাষ্ট্রপতির কাছে চিঠি দেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। এরপর মঙ্গলবার (১০ অক্টোবর) তিনি আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতিকে তার বিদেশ ভ্রমণের বিষয়টি চিঠি দিয়ে অবহিত করেন। ওই চিঠিতে আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত প্রধান বিচারপতি অস্ট্রেলিয়ায় থাকতে চান বলে উল্লেখ রয়েছে। এরআগে তিনি সস্ত্রীক অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পাঁচ বছরের ভিসার জন্য দূতাবাসে আবেদন করেন। তাদের তিন বছরের ভিসা দেয় অস্ট্রেলিয়া দূতাবাস।

আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির বিদেশ যাওয়া সংক্রান্ত জিও জারি