সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি এ জে মোহাম্মদ আলীর নামাজে জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। পরে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে ফুলেল শ্রদ্ধায় তাকে চির বিদায় জানিয়েছেন সহকর্মীরা।
শনিবার (৪ মে) বাদ আসর সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি প্রাঙ্গণে সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, সাবেক প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, সাবেক স্পিকার ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকার, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের সাবেক ও বর্তমান বিচারপতিরা, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, সম্পাদক শাহ মনজুরুল হকসহ সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী, বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতা এবং মরহুমের আত্মীয় স্বজনরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় প্রয়াত এজে মোহাম্মদ আলীর ছেলে ও মেয়ে তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চান।
জানাজা শেষে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা এ জে মোহাম্মদ আলীর কফিনে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর বিকাল সাড়ে ৫টায় তার মরদেহ দাফনের উদ্দেশে বনানী কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।
এর আগে গত ২৮ এপ্রিল সকালে চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ ছাড়েন এ জে মোহাম্মদ আলী। গত ২ এপ্রিল বাংলাদেশ সময় বেলা ২টা ২০ মিনিটে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন এ জে মোহাম্মদ আলী। তার বয়স হয়েছিল ৭৩ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে, এক মেয়ে সহ অসংখ্য গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এ জে মোহাম্মদ আলী বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের বর্তমান কমিটির সভাপতি ছিলেন। মরহুমের বাবা এম এইচ খন্দকার বাংলাদেশের প্রথম অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ছিলেন।
এ জে মোহাম্মদ আলীর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যরিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন।
প্রসঙ্গত, এ জে মোহাম্মদ আলী ১৯৮০ সালে হাইকোর্ট বিভাগে এবং ১৯৮৫ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্ত হন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে ২০০১ সালের অক্টোবরে তিনি অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। এরপর ২০০৫ সালের ৩০ এপ্রিল তিনি বাংলাদেশের ১২তম অ্যাটর্নি জেনারেল হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০৭ সালের ২৪ জানুয়ারি তিনি অ্যাটর্নি জেনারেল পদ থেকে পদত্যাগ করেন।