জানা গেছে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই স্কেভেটরসহ বিভিন্ন যন্ত্র দিয়ে রাজউকের কর্মকর্তারা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেন। এদিন সকালে বাড়ির বিদ্যুৎ ও গ্যাসসহ বিভিন্ন সেবার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়।
এদিকে ভবনের একাংশ ভাঙার পর মালামাল বের করে নিতে সময় দেওয়া হয়েছে। অভিযান কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ রয়েছে।
মঙ্গলবার ভাঙা শুরু হলেও আগামী ২৫ মার্চ বাড়িটি ভাঙার পরিকল্পনা ছিল বলে জানিয়েছে রাজউক। রাজউকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ওয়ালিউর রহমান বলেন, ‘কৌশলগত কারণে আজই উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। রাজউক অনুমোদিত কোনও নকশা বাড়িটিতে নেই।’
রাজউকের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বাড়িটি এক বিঘার চাইতে কিছু বেশি জমির ওপর ১৯৬৪ সালে নির্মিত। একসময় এখানে স্কুল ছিল। এ কে আজাদ ১০-১২ বছর আগে বাড়িটি কেনেন বলে জানা গেছে। কিন্তু কেনার পরও তিনি তা নিজের নামে রেকর্ড করতে পারেননি।’
রাজউকের ওই কর্মকর্তার দাবি, ‘আমরা উচ্ছেদ অভিযানের আগেই বাড়ির মালিককে নোটিশ করেছিলাম। কিন্তু তিনি কোনও পরোয়া করেননি।’
বাড়ির মালিক হিসেবে এ কে আজাদকেই নোটিশ করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে ওই কর্মকর্তার ভাষ্য, ‘তা বলতে পারবো না। কারণ এ বাড়ির মালিক কে তা নিয়ে কথা বলার জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া রয়েছে।’
তবে এসব বিষয়ে হা-মীম গ্রুপের চেয়ারম্যান এ কে আজাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মালিকানাধীন টাইমস মিডিয়া লিমিটেডের দুটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান দৈনিক সমকাল ও চ্যানেল টোয়েন্টিফোর।
ছবি ও ভিডিও: নাসিরুল ইসলাম