কোটা সংস্কার আন্দোলন: পুলিশের লাঠিচার্জ-টিয়ারশেলে আহত ৩১

শাহবাগে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের ওপর পুলিশের টিয়ারশেল নিক্ষেপ ও লাঠিচার্জে শিক্ষার্থীসহ ৩১ জন আহত হয়েছেন। তারা ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। রবিবার (৮ এপ্রিল) সন্ধ্যা ও রাতে এসব ঘটনা ঘটে।

লাঠিচার্জে আহত একজনকে আটক করে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশআহতরা হলেন- ব্যারিস্টার আওলাদ হোসেন (৫০), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আকরাম হোসেন (২৬), আবু বকর সিদ্দিক (২২), মো. রফিক (২৪), রাফি আলামিন (২২), রাজ (২৩), সোহেল (২৫), ওমর ফারুক (২৫), খোরশেদ (২৬), মাহিম (২২), আসলামসহ (২৩) অনেকে।

এদিকে ঢাবি প্রতিনিধি জানিয়েছে, আহতদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবু বকরের অবস্থা গুরুতর। তার চোখে রাবার বুলেট লেগেছে। তিনি এখন ঢামেকে চিকিৎসাধীন। এদিকে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমানের কোমড়ে রাবার বুলেট লেগেছে। তাকেও ঢামেকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এদিকে পুলিশের সঙ্গে শিক্ষার্থীদের এখনও ধাওয়া- পাল্টা ধাওয়া চলছে। প্রায় ৩ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থী চারুকলা, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে অবস্থান করছে। পুলিশ তাদের টিয়ারশেল ও লাঠিচার্জ করছে। এদিকে মেয়েরা হলের ভেতর থেকে বের হতে না পারায় ভেতর থেকেই কোটা সংস্কারের দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন।

ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসব ডা. মো. আলাউদ্দিন  ও পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. বাচ্চু মিয়া এই ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন। তারা বলেন, ‘হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে অনেকে চলে গেছেন। আবার কেউ কেউ চিকিৎসা নিচ্ছেন।’

এর আগে সন্ধ্যা থেকেই বিপুল সংখ্যক পুলিশ শাহবাগের দিকে জড়ো হতে থাকে। পূর্ব ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী এদিন দুপুর ২টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরির সামনে থেকে শিক্ষার্থী ও চাকরিপ্রার্থীদের পদযাত্রা শুরু হয়। পরে রাজু ভাস্কর্য হয়ে নীলক্ষেত ও কাঁটাবন ঘুরে পদযাত্রাটি শাহবাগ মোড়ে আসে। এরপর বিকাল ৩টা থেকে শাহবাগেই অবস্থান নেয় তারা। এতে শাহবাগের চারদিকের সড়কগুলোতে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে পুরো শহরজুড়ে যানজট দেখা দেয়।