জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী সংস্থা বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) এএম মোসাদ্দিক আহমেদকে দায়িত্ব থেকে প্রত্যাহার করা হয়। তার জায়গায় বিমানের পরিচালক (ফ্লাইট অপারেশন্স) ক্যাপ্টেন ফারহাত হাসান জামিলকে ভারপ্রাপ্ত এমডি করা হয়। বিমানে একবছরের চুক্তিতে এমডি নিয়োগ দেওয়া হয়। মোসাদ্দিক আহমেদের চুক্তির মেয়াদ ৩১ মে শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় তাকে একমাস আগেই প্রত্যাহার করে নেওয়া হয়।
সূত্র জানায়, এমডি ও সিইও খুঁজে পেতে গত ১২ মার্চ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে বিমান। দেশি-বিদেশি প্রায় ৭০ জন এ পদের জন্য আবেদন করেছেন। তবে পছন্দমতো প্রার্থী না পাওয়ায় কাউকেই নিয়োগ দেওয়া হয়নি।
নিয়োগ প্রক্রিয়া প্রসঙ্গে বিমানের পরিচালনা পর্ষদ সদস্য ও বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মহিবুল হক বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এমডি নিয়োগের জন্য একটি শর্ট লিস্ট করা হয়েছে। এ বিষয়ে আগামী বোর্ড মিটিংয়ে আলোচনা করা হবে। বিজ্ঞপ্তির আওতায় আবেদনকারীদের মধ্য থেকে নেবে নাকি অন্য কোনও মাধ্যমে নেবে, মিটিংয়ে এ বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত পাওয়া যাবে।
জানা গেছে, ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদে নিয়োগের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ পদের জন্য আবেদনকারীর বয়স ৪৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে হতে হবে। এভিয়েশন খাতে ২০ বছর কাজ করার অভিজ্ঞতা ও বিমানের ব্যবস্থাপনার উচ্চ পদে কাজ করার অভিজ্ঞতা থাকতে হবে ১০ বছরের। তবে কত টাকা বেতন দেওয়া হবে তা বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ নেই। প্রার্থী কত টাকা বেতন প্রত্যাশা করেন তা উল্লেখ করতে বলা হয়। বাংলাদেশি বা বিদেশি, এমনকি বিমানে কর্মকর্তাদের যে কেউ এই পদের জন্য আবেদন করার সুযোগ ছিল। আবেদন জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ছিল গত ১৫ এপ্রিল।