বুয়েটের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যার একদিন পর মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ক্যাম্পাসে এসেছেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম। কিন্তু নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনায় না বসায় তাকে অবরুদ্ধ করা হয়।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, বিকাল ৫টার দিকে বুয়েটের নিজ কার্যালয়ে এসেছেন উপাচার্য। তারপর আধাঘণ্টা অপেক্ষা করা হয়। কিন্তু তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনার ব্যাপারে কোনও সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় তার রুমে বাইরে থেকে তালা দেওয়া হয়েছে।
উপাচার্যের কার্যালয়ের সামনে আবরার হত্যার বিচারসহ নিজেদের ৭ দফা দাবিতে স্লোগান দিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।
এর আগে, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার মধ্যে বুয়েট ক্যাম্পাসে উপস্থিত হয়ে উপাচার্যকে জবাবদিহিতার ব্যাপারে আল্টিমেটাম দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। সকালে এই আল্টিমেটাম দেওয়ার পর বিকাল ৪টার দিকে আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধির সঙ্গে আলোচনা করতে ছাত্র কল্যাণ পরিষদের পরিচালক মিজানুর রহমানের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের কাছে প্রস্তাব পাঠান ভিসি। কিন্তু আন্দোলনকারীরা শুধু কয়েকজন প্রতিনিধির মাধ্যমে আলোচনার বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করেন। তারা ভিসির সঙ্গে সরাসরি আলোচনা করতে চান।
উল্লেখ্য, ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেওয়ার জের ধরে আবরার ফাহাদকে রবিবার (৬ অক্টোবর) রাতে ডেকে নিয়ে যায় বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী। এরপর রাত ৩টার দিকে শেরে বাংলা হলের নিচতলা ও দুইতলার সিঁড়ির করিডোর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
আরও খবর:
অনির্দিষ্টকালের জন্য বুয়েটে ভর্তি ও অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা আন্দোলনকারীদের
বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি বন্ধের দাবি, সমর্থন শিক্ষক সমিতির
আবরার হত্যার বিচারসহ ৭ দফা দাবিতে উত্তাল বুয়েট
বুয়েটে আবরার হত্যা: ছাত্রলীগ থেকে ১১ জনকে স্থায়ী বহিষ্কার
আবরার হত্যার ঘটনায় ১৯ জনকে আসামি করে মামলা