রেসিডেনসিয়ালে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শিক্ষার্থীর মৃত্যু

 

নাঈমুল আবরাররাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেনসিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাঠে কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে নবম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী মারা গেছে। তার নাম নাঈমুল আবরার। শুক্রবার (১ নভেস্বর) বিকাল সাড়ে ৩টায় রেসিডেনসিয়াল মাঠে এই ঘটনা ঘটে।

এদিকে শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার পরও বিষয়টি আয়োজক কর্তৃপক্ষ গোপন রাখায় এবং ঘটনার পর তাকে পাশের সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে না নিয়ে মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়ালে নেওয়ায় রেসিডেনসিয়ালের শিক্ষার্থীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। তবে নিহত শিক্ষার্থীর পরিবারের কোনও অভিযোগ না থাকায় পুলিশ আবরারের লাশ তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে।

মোহাম্মদপুর থানার এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কিশোর আলোর প্রোগ্রামে বিকাল সাড়ে ৩টায় আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। এরপর তাকে মহাখালী আয়েশা মেমোরিয়ালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে আমাদের পুলিশ, স্কুল কর্তৃপক্ষে এবং অনুষ্ঠান আয়োজকের লোকজন সেখানে গিয়ে লাশ নিয়ে আসে। নিহত ছেলেটির পরিবারের কোনও অভিযোগ নেই। আমরা তাদের কাছে লাশ হস্তান্তর করেছি।’

আয়েশা মেমোরিয়াল হসপিটালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ফোন অপারেটর লোকমান হোসেন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিকাল সোয়া ৪টায় আবরারকে আমাদের হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। আমাদের কর্তব্যরত চিকিৎসক শ্রীকান্ত সব পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিকাল ৪টা ৫১ মিনিটে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

এদিকে এই ঘটনার পর কিশোর আলোর পক্ষ থেকে লেখক আনিসুল হক একটি বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বিবৃতিতে বলেন, গভীর দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, কিশোর আলোর অনুষ্ঠান দেখতে এসে ঢাকা রেসিডেনসিয়াল কলেজের নবম শ্রেণির ছাত্র নাঈমুল আবরার বিদ্যুতায়িত হয়। পরে ওখানেই জরুরি মেডিক্যাল ক্যাম্পে তাকে নেওয়া হয়। দুজন এফসিপিএস ডাক্তার তাকে দেখেন। তারা জরুরি ভিত্তিতে আবরারকে হাসপাতালে নিতে বলেন। হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আমার জীবনে এর চেয়ে মর্মান্তিক খবর আর পাইনি। আমি ও কিশোর আলো আজীবন আবরারের পরিবারের সঙ্গে থাকবো। যদিও এই অপূরণীয় ক্ষতি কিছুতেই পূরণ হবে না। আমি ‘কিংকর্তব্যবিমুঢ়’ অবস্থায় আছি। আবরারের জন্য দোয়া করছি।