শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ১১ ফেব্রুয়ারি

বিন্দু-৩৬৫-এর অনুষ্ঠানে শমী কায়সারসাংবাদিকদের ‘চোর’ বলার অভিযোগে অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে দায়ের করা মানহানি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেছেন আদালত। সোমবার (২০ জানুয়ারি) এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেনি। এ কারণে শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জিয়াউর রহমান প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ১১ ফেব্রুয়ারি পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।

আদালতের পেশকার রাকিব চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

গত ২৫ নভেম্বর মামলার বাদী নুজহাতুল হাসানের নারাজি আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) পুনরায় মামলা তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন আদালত। এরআগে, গত ২৪ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শাহবাগ থানার ওসি (তদন্ত) মাহবুব রহমান এ মামলায় বাদীর অভিযোগের সত্যতা খুঁজে পাননি বলে আদালতে একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন। ওই দিনই বাদী আদালতে ওই প্রতিবেদনের ওপর অনাস্থা (নারাজি) প্রকাশ করে পুনরায় তদন্ত প্রতিবেদনের আবেদন করবেন বলে আদালতকে জানান।

প্রসঙ্গত, গত ৩০ এপ্রিল স্টুডেন্ট জার্নাল বিডি’র সম্পাদক নুজহাতুল হাসান দণ্ডবিধির ৫০০ ধারায় অভিনেত্রী শমী কায়সারের বিরুদ্ধে মানহানির এই মামলা দায়ের করেন। এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামির আচরণ বাদী ও দেশের সাংবাদিকসহ সমাজের অন্যান্য মহলের জন্য অত্যন্ত মানহানিকর ও অপমানজনক। তার আচরণের বিষয়টি অনলাইন গণমাধ্যমে প্রচারিত হওয়ায় বাদী ও সাংবাদিকদের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। সাংবাদিকদের চোর আখ্যায়িত করে দেশ ও জাতির কাছে বাদীর ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন আসামি।

উল্লেখ্য, গত ২৪ এপ্রিল জাতীয় প্রেস ক্লাবে ই-কমার্সভিত্তিক পর্যটনবিষয়ক সাইট ‘বিন্দু ৩৬৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শমী কায়সারের দু’টি স্মার্টফোন চুরি হয়। ওই অনুষ্ঠানে ৫০ জনের মতো ফটোসাংবাদিক, ভিডিও ক্যামেরাম্যান ও শতাধিক মানুষ উপস্থিত ছিলেন। পরবর্তীতে শমী কায়সারের দেহরক্ষীরা সাংবাদিকদের আটকে রাখে। তারা সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশি করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। এছাড়াও শমী কায়সারের নির্দেশে নিরাপত্তাকর্মীরা মিলনায়তনের মূল ফটক বন্ধ করে আধা ঘণ্টা গেটের সামনে দাঁড়িয়ে থেকে সাংবাদিকদের দেহ তল্লাশি করান। কোনও কোনও সাংবাদিক দেহ তল্লাশি শেষে বের হতে চাইলে তাদের বের হতে না দিয়ে তাদের উদ্দেশে বিভিন্ন কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করা হয়। পরে সাংবাদিকদের ক্যামেরায় ধারণকৃত ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে কেক নিয়ে আসা লাইটিংয়ের এক কর্মী স্মার্টফোন দু’টি নিয়ে গেছেন।