নির্বাচন শেষে মোহাম্মদপুরে যুবক খুন, গ্রেফতার হয়নি কেউ

নিহত সুমন শিকদাররাজধানীর মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজারের রহিম বেপারী ঘাটে নির্বাচন-পরবর্তী হামলায় এক যুবক নিহত হয়েছেন। তার নাম সুমন শিকদার (২৫)। শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাতে পুলিশ তার লাশ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেছে। এ ঘটনায় নিহতের ভাই রিয়াদ শিকদার বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় অজ্ঞাতনামা কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। তবে পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার বা শনাক্ত করতে পারেনি। ধারালো অস্ত্র দিয়ে সুমনের বুক, পেট ও পায়ে কোপানো হয়েছিল।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, লাশ উদ্ধারের সময় সুমনের গলা থেকে ৩২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী সৈয়দ হাসান-নূর ইসলামের নামসংবলিত একটি কার্ড পাওয়া গেছে। তবে পুলিশ ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলর হাসান-নূর ইসলাম জানিয়েছেন, সুমন তার সমর্থক ছিলেন না। তিনি পোলিং এজেন্ট হিসেবেও কোনও কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করেননি।
সুমনের বাবার নাম আনোয়ার শিকদার। তিনি লালমাটিয়ার এফ ব্লকের ৪২ নম্বর বাসায় পরিবারের সঙ্গে থাকতেন। রাপা প্লাজায় একটি ডিস সংযোগ প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন। ময়নাতদন্ত শেষে রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) পরিবারের সদস্যরা সুমনের মরদেহ লক্ষ্মীপুরের চর আলেকজেন্ডারে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যান।
পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের সিনিয়র সহকারী কমিশনার রওশানুল হক সৈকত বলেন, ‘এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। আমরা খুনিদের ধরতে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছি। আমরা খোঁজ নিয়ে জানতে পেরেছি, সুমন কারো পোলিং এজেন্ট ছিলেন না।’
সুমনের স্বজন ও বন্ধুরা জানিয়েছেন, শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) দুই সিটির মেয়র নির্বাচন শেষে রাত সাড়ে ৮টার দিকে বন্ধুদের সঙ্গে সুমন রায়েরবাজারের রহিম ব্যাপারীর ঘাটে আড্ডা দিচ্ছিলেন। এসময় হঠাৎ বেশ কয়েকজন মুখোশধারী যুবক গিয়ে তাদের এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এতে সুমন গুরুতর আহত হলে সঙ্গে সঙ্গে তাকে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
৩২ নম্বর ওয়ার্ডর নব নির্বাচিত কাউন্সিলর সৈয়দ হাসান-নূর ইসলাম বলেন, ‘সুমন আমার এজেন্ট ছিলেন না। নির্বাচন উপলক্ষে আমি ১০-১৫ হাজার গলায় ঝোলানোর কার্ড বানিয়েছিলাম। তিনি হয়তো কারো মাধ্যমে আমার কার্ড গলায় দিয়েছিলেন। কারা, কেন তাকে হত্যা করেছে, আমি বুঝতে পারছি না।’ পুলিশ খুনিদের ধরতে কাজ করছে বলে জানান তিনি।