অনুষ্ঠানে লেখক-গবেষক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, ‘এবিএম মূসা ছিলেন একজন নির্ভীক সাংবাদিক। তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি সত্যটা বলতে পারতেন। যেটা আমরা বলতে পারি না। শুধু তা-ই নয়, শেষ সময়ে এসে কলাম লিখে সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন তিনি। আমি মনে করি, মাঝে-সাঝে এমন হওয়াটাও দরকার।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল বলেন, ‘গণমাধ্যম কোনও বিচ্ছিন্ন সমাজ নয়। বাংলাদেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহু ব্যর্থতা যদি থাকে তাহলে সংবাদপত্র এর থেকে মুক্ত হতে পারে না।’
গণমাধ্যমে কালো টাকার পুঁজি বেড়েছে, মালিক-সম্পাদকের সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বেড়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কাজ করা এনজিওদের সঙ্গে জোট গঠন বেড়েছে। তাছাড়া কোনও বিশেষ রাজনৈতিক দল বা তাদের সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের নিয়োগ প্রবণতা বেড়েছে। তবে এত কিছুর পরও মানবাধিকার প্রসারে গণমাধ্যম এ দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশি গুরুত্ব রেখেছে।’ সাংবাদিকদের আরও ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস, এবিএম মূসার বড় মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমা, ছোট মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শারমিন মূসা, এবিএম মূসার স্ত্রী সেতারা মূসা প্রমুখ।