মর্গের সামনে স্বজনদের আহাজারি

5বুড়িগঙ্গায় লঞ্চডুবির ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩০টি লাশ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে নৌপথেই নিয়ে আসা হচ্ছে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজের মর্গে। লাশ নিতে আসা স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠে মর্গের বাতাস। কেউ বুক চাপড়িয়ে, কেউ মাথায় হাত দিয়ে কেউবা কাঁদতে কাঁদতে প্রিয়জন হারানোর বেদনায় জ্ঞান হারাচ্ছেন।
সোমবার (২৯ জুন) দুপুরের পর থেকে সলিমুল্লাহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে আসা শুরু করে লাশ। প্রথমে একসঙ্গে ২৩টি লাশ আসে। এরপর একে একে মোট ৩০টি লাশ আসে। নৌপথে লাশগুলো মর্গে নিয়ে আসেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এদের পাশাপাশি নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড উদ্ধার কাজে অংশ নেয়।

1

মর্গে লাশ চিনতে বেগ পেতে হয়েছে অনেককে। অনেক লাশের চেহারা ফুলে থাকায় কিংবা নাক মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হয়ে যাওয়ায় লাশ চিনতে কিছুটা সমস্যা হচ্ছে স্বজনদের। লাশ পেয়ে কান্নায় ফেটে পড়েন অনেকে।

লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন মনির। তিনি পেশায় একজন ব্যবসায়ী। বোন জামাই হারানোর শোকে মর্গের সামনে আহাজারি করছেন তার স্ত্রীর ৪ ভাই। এক ভাই ফোনে লাশের বর্ণনা দিচ্ছেন কাঁদতে কাঁদতে। বলছেন, লাশের নাক মুখ দিয়ে ফ্যানা বের হয়ে গেছে।

তার পাশেই আরেক ভাই প্রায় সংজ্ঞাহীন। তার মাথায় পানি ঢালছেন স্বজনরা। নিহতের শ্যালক সোহাগ জানান, একমাত্র ছোট বোনের স্বামী ছিলেন মনির। ঢাকায় ব্যবসা করতেন। বয়স আনুমানিক ৪৫ বছর।

2

লঞ্চ দুর্ঘটনায় নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে ঢাকা জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাফন বাবদ ২০ হাজার এবং বিআইডব্লিউটিএ'র পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকা জেলা প্রশাসন কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার মো. মামুনুল হক। মর্গের পাশে তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করে এই টাকা হস্তান্তর করা হচ্ছে।

4

এদিকে লঞ্চডুবির ঘটনায় পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। কমিটির প্রধান নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (উন্নয়ন ও পিপিপি সেল) মো. রফিকুল ইসলাম খান। কমিটিকে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।

3