‘রিজেন্ট সাহেদের’ অবৈধ সম্পদ অনুসন্ধানে দুদক

রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো.সাহেদ (ছবি রিজেন্ট গ্রুপের ওয়েবসাইট থেকে সংগৃহীত)রিজেন্ট হাসপাতালের মালিক ও রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের অবৈধ সম্পদের অনুসন্ধান করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে বলে জানিয়েছেন দুদকের পরিচালক (জনসংযোগ) প্রণব কুমার ভট্টাচার্য। সোমবার (১৩ জুলাই) কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানান তিনি।

অভিযোগ প্রসঙ্গে প্রণব কুমার ভট্টাচার্য জানান, মাইক্রোক্রেডিট ও এমএলএম ব্যবসার নামে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ, বহুমাত্রিক জাল-জালিয়াতি ও প্রতারণার মাধ্যমে পরস্পর যোগসাজশে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, আয়কর ফাঁকি, ভুয়া নাম ও পরিচয়ে ব্যাংক ঋণ গ্রহণ করে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কমিশন।

এর আগে কমিশনের সংশ্লিষ্ট অনুবিভাগগুলো বিভিন্ন ব্যক্তি, গণমাধ্যম, ভার্চুয়াল মাধ্যমসহ বিভিন্ন্ উৎস থেকে মো. সাহেদ ওরফে সাহেদ করিমের বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলো সংগ্রহ করে। এসব অভিযোগের তথ্য-উপাত্ত কমিশনের দৈনিক ও সাম্প্রতিক অভিযোগ সেল কমিশনে উপস্থাপন করে। পরে কমিশন তদন্তের এ সিদ্ধান্ত নেয়। কমিশনের বিশেষ তদন্ত অনুবিভাগের মাধ্যমে এই অভিযোগটি অনুসন্ধান করা হবে।

কমিশনের উপপরিচালক মো. আবু বকর সিদ্দিকের নেতৃত্বে তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে। এ দলের অন্য সদস্যরা হলেন মো.নেয়ামুল হাসান গাজী ও শেখ মো. গোলাম মাওলা।

উল্লেখ্য, গত ৬ জুলাই কোভিড ১৯ ডেডিকেটেড রিজেন্ট হাসপাতালের উত্তরা ও মিরপুর শাখায় অভিযান চালায় র‌্যাব।  এসময় হাসপাতালে জাল রিপোর্ট ও করোনা সন্দেহ রোগীদের অসংখ্য নমুনা পাওয়া যায়। যেগুলো তারা পরীক্ষা না করেই মনগাড়া রিপোর্ট দিতো। এই ঘটনায় রিজেন্টের চেয়ারম্যান সাহেদ ও এমডি মাসুদ পারভেজসহ ১৭ জনকে আসামি করে মামলা করেছে র‌্যাব। আটজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তারা রিমান্ডে রয়েছে। তবে পলাতক চেয়ারম্যান সাহেদ। তার দেশত্যাগের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- 

যেভাবে উত্থান সাহেদের

রিজেন্ট হাসপাতালের ৭ কর্মকর্তা রিমান্ডে

রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান শাহেদসহ ১৭ জনের নামে মামলা