পাকিস্তান দূতাবাসের কূটনীতিক ফারিনা আরশাদ গত এক বছর ধরে গোয়েন্দা সংস্থার পর্যবেক্ষণে ছিলেন। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, ফারিনার সন্দেহজনক গতিবিধির জন্য তাকে পর্যবেক্ষণে রেখেছিলাম।
তিনি বলেন, পরবর্তীতে ফারিনা আরশাদের বিরুদ্ধে অকাট্য প্রমাণ পাওয়ার পর আমরা তাকে চলে যেতে বলি।
এ ছাড়া, বাংলাদেশের একাধিক কর্মকর্তাকে পাকিস্তান জানিয়েছে আরশাদকে বাংলাদেশে অবাঞ্ছিত (পারসন এ নন গ্র্যাটা) ঘোষণা করলে তারা এর প্রতিশোধ হিসেবে পাকিস্তানে একজন বাংলাদেশি কূটনীতিককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করতে পারে।
তিনি বলেন সবার কাছে গ্রহণযোগ্য সমাধান চেয়েছিল পাকিস্তান। সেজন্য ফারিনাকে বাংলাদেশ থেকে অনানুষ্ঠানিকভাবে চলে যেতে বলায় তাকে পাকিস্তান প্রত্যাহার করে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গত সপ্তাহে মৌখিকভাবে আরশাদকে প্রত্যাহারের কথা জানালে পাকিস্তান সেটা মেনে নেয়।
এর আগে জানুয়ারিতে পাকিস্তান দূতাবাসের কর্মকর্তা মোহাম্মাদ মাজহার খানকে চলে যাওয়ার নির্দেশনা দেওয়া হয়।
মাজহার খানকে জাল নোটসহ পুলিশ বনানী থেকে গ্রেফতার করে এবং তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট সাক্ষ্যপ্রমাণও ছিল। এরপর পাকিস্তান মিশনকে তাকে ফেরত পাঠানোর নির্দেশ দেয়।
/এফএ/