বুধবার (২৫ নভেম্বর) অনলাইন প্রেস ব্রিফিংয়ে এ কথা জানান তিনি। প্রেস ব্রিফিংয়ে সংযুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী।
মন্ত্রী বলেন, আমরা অবস্থা পর্যবেক্ষণ করছি। সব প্রস্তুতি রাখছি। যখনই ক্লাস খোলার মতো পরিস্থিতি হবে তখন খুলবো। তবে যখন খুলবো তখনও আমাদের খোলার কিছু দিন পর্যন্ত কীভাবে পুরোপুরি স্বাস্থ্যবিধি মেনে ক্লাস নিতে পারবো সেই ব্যবস্থাটা নিয়েই আমাদের করতে হবে। সেক্ষেত্রে প্রতিদিন ক্লাস হয়তো করা যাবে না। সপ্তাহে কয়েকদিন করে হয়তো ক্লাস করা যাবে। একইসঙ্গে অনলাইনেও তাদের ক্লাসগুলো চলবে। মিশ্র পদ্ধতি আমাদের অনুসরণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, ‘যারা এসএসসি বা এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের হয়তো একদিন ছুটি ছাড়া বাকি ছয়দিনই স্কুলে কলেজে নিয়ে আসবো কিন্তু বাকিদের ক্ষেত্রে ফেজ করে করে করার ভাবনা আমাদের। শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যঝুঁকিটা মাথায় রেখেই আমাদের করতে হবে।’
সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আমরা আগে বলেছিলাম সীমিত আকারে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে পারি। সেটা এজন্য যে আগামী বছর যারা এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা দেবে, তাদের অন্তত নিয়ে আসতে পারি স্কুল কলেজে। কিন্তু তারপর আমাদের সঙ্গে কথা হয়েছে সীমিত আকারেও খুলে দেওয়ার পরিস্থিতি নেই। যখন আমরা সীমিত আকারে খোলার সিদ্ধান্ত নিয়েছি, তখন দেখলাম দিন দুই তিনেকের মধ্যেই সংক্রমণের হার ঊর্ধ্বগামী।’
প্রসঙ্গত, গত ৮ মার্চ দেশে করোনা রোগী শনাক্ত হলে গত ১৭ মার্চ থেকে দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেওয়া হয়। দফায় দফায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়িয়ে আগামী ১৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান (কওমি মাদ্রাসা ছাড়া) বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।