ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের শীতবস্ত্র পৌঁছে দিলো সংযোগ

বান্দরবান জেলার দুর্গম এলাকার শীতার্ত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে শীতবস্ত্র ও নারীদের জন্য স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী স্যানিটারি ন্যাপকিন পৌঁছে দিয়েছে ফেসবুকভিত্তিক অনলাইন সোশ্যাল ওয়ার্কিং প্লাটফর্ম ‘সংযোগ-কানেক্টিং পিপল’। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) থানচির বালিপাড়া, কমলাবাগান ও তিন্দুতে খুমি জনগোষ্ঠীর সদস্যদের হাতে এসব প্রয়োজনীয় জিনিস পৌঁছে দেওয়া হয়।

শীতবস্ত্র এবং জীবনরক্ষাকারী সামগ্রী বিতরণে উপস্থিত সংযোগ প্রতিনিধি প্রকৌশলী চঞ্চল বলেন, দুর্গম এলাকার ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদে স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক বিষয়ে কাজ করা সংযোগের উদ্দেশ্য। তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান লিন্ডেক্স ও জ্যোতির সহায়তায় শীতবস্ত্র ও ন্যাপকিন পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। শুধু থানচি নয়, আলীকদম এবং বিলাইছড়িতেও সংযোগ শীতবস্ত্র, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং অক্সিমিটার বিতরণ করবে। এই তিন এলাকায় খুমি, বম ও মুরং জনগোষ্ঠীর লোকদের মধ্যে ৫০০ পিস কম্বল, ৫০০ পিস লিন্ডেক্সের গরম কাপড়, জ্যোতির ৫০০ পিস স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ করা হবে বলে জানান তিনি।

সংযোগ১তিনি আরও জানান, শীতার্তদের মধ্যে গরম কাপড় ও কম্বল বিতরণে দায়রা জজ মাসরুর সালেকিন সহায়তার হাত বাড়িয় দেন। এছাড়া থানচি উপজেলা নির্বাহী অফিসারের পক্ষে তরিকুল ইসলাম, তিন্দু ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান এবং খুমি গ্রামের মেম্বাররা বিতরণ কাজে সহায়তা করেন।

এছাড়া সার্বিক বিতরণ কার্যক্রমে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও বিজিবি সদস্যরাও সহায়তা করেন বলে জানান তিনি।

শীতার্ত মানুষের হাতে শীতবস্ত্র ও কম্বল তুলে দেওয়া প্রসঙ্গে দায়রা জজ মাসরুর সালেকিন বলেন, সংযোগ সারা দেশে এ পর্যন্ত পাঁচ হাজার পিস কম্বল বিতরণ করেছে। তাদের কাজে আমরাও জড়িত থাকতে পেরে আনন্দিত। দুর্যোগে সরকারের পাশাপাশি সবাই এগিয়ে এলেই দুর্যোগ মোকাবিলা সহজ হয়ে ওঠে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে ফেসবুক প্লাটফর্ম সংযোগ। গত ৯ মাসে সংযোগ প্লাটফর্মে যুক্ত হয়েছেন ৩২ হাজারের বেশি মানুষ। এখন পর্যন্ত সংযোগ আট হাজার চিকিৎসা কর্মীকে পিপিই পৌঁছে দিয়েছে। নন-এমপিওভুক্ত দুই হাজার স্কুলশিক্ষককে করেছে নগদ সহায়তা। কোভিড, আম্পান আক্রান্ত, পাটকল শ্রমিক, বানিয়াশান্তা, হাওর এবং ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর প্রায় তিন হাজার পরিবারকে এক মাসের খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে তারা। এছাড়া ঢাকায় ১০০ জনের ওপর করোনা রোগীকে অক্সিজেন সরবরাহ, শতাধিক ব্যক্তির জন্য ব্লাড ও প্লাজমা ডোনারের ব্যবস্থা করে দেওয়া, ১০ জনের ওপর মানুষকে স্বাবলম্বী হতে সহায়তা, ২০ জনের চাকরির ব্যবস্থা করা ও ২০ জনের বেশি ব্যক্তিকে চিকিৎসা সহায়তা পৌঁছে দিয়েছে সংযোগ।

আরও পড়ুন:
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ছড়িয়ে দিতে সংযোগের ‘বিজয় অলিম্পিয়াড’