রাজধানীর মগবাজারে বিস্ফোরণের ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে সাত জনে। ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার মো. শফিকুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘ফায়ার সার্ভিসের সঙ্গে কথা বলে আমরা জেনেছি, এখানে যে শর্মা হাউজ ছিল। মূলত সেখান থেকেই বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। সেখানে সম্ভবত গ্যাস জমেছিল এই গ্যাস বিস্ফোরণের কারণে আশেপাশের সাতটি বিল্ডিং ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পথে থাকা দুটি বাস ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত আমরা সাতজন মারা গেছে বলে খবর পেয়েছি।’
এর মধ্যে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। ১২ জন আহত অবস্থায় ভর্তি রয়েছেন বলে জানিয়েছেন শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক চিকিৎসক ডা. পার্থ শঙ্কর পাল।
তিনি আরও বলেন, হাসপাতালে ভর্তি থাকা ১০ রোগীর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদেরকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। বাকিদেরকে জেনারেল ওয়ার্ডে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, এ সব রোগীদের মধ্যে বেশ কয়েক জনের ক্যাজুয়ালটি ইনজুরি রয়েছে।
এদিকে, ঢামেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মো. আলাউদ্দিন বলেন, আমাদের এখানে এ পর্যন্ত ৩৯ জন রোগী পেয়েছি। এর মধ্যে রাত সোয়া ১০ টার সময়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় জান্নাত (২৩) নামে এক নারী মারা গেছেন।
এদিকে মগবাজার কমিউনিটি হাসপাতালে নেওয়ার পর ২ জনের মৃত্যু ঘটেছে। নিহতের মধ্যে একজন শিশু অন্য একজন বয়স্ক। শিশুটির মৃতদেহ তার পরিবার নিয়ে গেছে এবং বয়স্ক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে কমিউনিটি হাসপাতাল মর্গে রাখা হয় এবং সেখান থেকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা কমিউনিটি হাসপাতালের সুপারভাইজার স্বাধীন বলেন, আমরা এ পর্যন্ত দুই শতাধিক ব্যক্তিকে চিকিৎসা সেবা দিয়েছি। গুরুতর আহত ব্যক্তিদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে পাঠানোর ব্যবস্থা করেছি।
প্রসঙ্গত, রবিবার (২৭ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর মগবাজারে একটি তৃতীয়তলা ভবনে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুই শতাধিক আহত ও ৭ জন নিহতের ঘটনা ঘটেছে। ঘটনাস্থলে অসংখ্য যানবাহন ও ভবন এই বিস্ফোরণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন-