মতিঝিল আইডিয়ালের আতিককে গ্রেফতারের দাবি

রাজধানীর ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের কর্মচারী আতিকুর রহমান খানকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরাম। তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। বৃহস্পতিবার (৫ আগস্ট) আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ অভিভাবক ফোরামের চেয়ারম্যান ফাহিমউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রোস্তম আলী যৌথ বিবৃতিতে এ দাবি জানান।  

বিবৃতিতে বলা হয়, অবৈধভাবে পদ সৃষ্টি করে ২০০৪ সালে আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের উপ-সহকারী প্রকৌশলী পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত আতিকুর রহমান খানের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করে দ্রুত গ্রেফতার করার জন্য দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে জোর দাবি জানানো হয়। আতিক যাতে দেশ ছেড়ে পালাতে না পারেন সেজন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্যও দাবি জানান ফোরামের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক।

বিবৃতিতে ফোরামের চেয়ারম্যান ফাহিমউদ্দিন আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মো. রোস্তম আলী বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্ত তৃতীয় শ্রেণির কর্মচারী আতিকুর রহমান খান ২০০৪ সাল থেকে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির অবৈধ ভর্তি ও নিয়োগ বাণিজ্যের সিন্ডিকেটের সঙ্গে জড়িত হয়ে শত শত কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। তার নামে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে ৯৭টি হিসাব রয়েছে এবং ২০০৭ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এসব হিসাবে ১১০ কোটি টাকার লেনদেন রয়েছে। আতিক স্কুলটির সব ধরনের অনিয়ম, অবৈধ কর্মকাণ্ড ও দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।’

বিবৃতিতে দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারী আতিকের পৃষ্ঠপোষক ও ওই স্কুলের দুর্নীতির সিন্ডিকেটের সদস্যদেরও আইনের আওতায় আনার দাবি জানান ফেরামের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক। পাশাপাশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানটির গভর্নিং বডির সভাপতি ও অধ্যক্ষসহ সব সদস্যের সম্পদের হিসাব চাওয়ার জন্য দুদকের চেয়ারম্যানের কাছে দাবি জানান তারা।

প্রসঙ্গত, সামান্য বেতনের কর্মচারী হলেও আতিকুর রহমানের বিরুদ্ধে ব্যাংকে শতকোটি টাকা লেনদেনের বিষয়ে বাংলা ট্রিবিউনে ‘বেতন ৩০ হাজার, ব্যাংকে লেনদেন শত কোটি টাকা!’ শিরোনামে  সংবাদ প্রচারিত হয়। এই বিষয়টি শিক্ষা মন্ত্রণালয় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে।