শাহজালালে পচনশীল দ্রব্য স্ক্যানিংয়ে যুক্ত হলো দুটি এক্স-রে মেশিন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সে যুক্ত হলো দুটি অত্যাধুনিক এক্স-রে মেশিন। শুধু সবজি, মাছ, ফলসহ অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য স্ক্যানিংয়ে এ দুটি এক্স-রে মেশিন ব্যবহার করা হবে।

সোমবার (৩ জানুয়ারি) এ দুটি মেশিনের উদ্বোধন করেন বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল আহসান।

জানা গেছে, বিমানবন্দরের রফতানি কার্গো কমপ্লেক্সে ৬টি স্ক্যানিং মেশিন দিয়ে তল্লাশি করা হতো সকল ধরণের পণ্য। সম্প্রতি ২টি স্ক্যানিং মেশিন নষ্ট হওয়ায় রফতানিতে জট লাগে। এতে সব থেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় দ্রুত পচনশীল পণ্য রফতানিকারকরা। সরেজমিনে কার্গো কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে সমস্যা সমাধানে নির্দেশনা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান।

রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর তথ্য মতে, যুক্তরাজ্য, সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, কাতার, ইতালিসহ বিভিন্ন দেশে কৃষিজাত পণ্য রফতানি হয়।

নতুন দুটি এক্স-রে মেশিন যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত। এ দুটির মাধ্যমে  শুধু সবজি, মাছ, ফলসহ অন্যান্য পচনশীল দ্রব্য স্ক্যানিং করা হবে।

বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এ এইচ এম তৌহিদ উল বলেন, বিদেশে বাংলাদেশের সবজি, মাছ, কাকড়া, ফুল, ফলসহ অন্যান্য পচনশীল দ্রব্যের ক্রমবর্ধমান চাহিদাকে প্রাধান্য দিয়ে মেশিন দুটি শুধু পচনশীল রফতানিযোগ্য কার্গোর স্ক্যানিং এ ব্যবহৃত হবে।  এতে করে আমাদের দেশীয় কৃষিজাত পণ্য বিশ্ববাজারে আরও কম সময়ে ও অধিক পরিমাণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে  পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হবে। পচনশীল দ্রব্য আগের থেকে আরও দেড় গুন বেশি পরিমাণে  আকাশপথে বিদেশে রফতানি করা সম্ভব হবে। বিমানবন্দরে পচে নষ্ট হওয়ার সমস্যার নিরসন হয়েছে।