ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সাংবাদিক আজহার মাহমুদের মুক্তির দাবি

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে আটক সাংবাদিক আজহার মাহমুদের মুক্তির দাবি জানিয়েছেন সাংবাদিক নেতারা। বৃহস্পতিবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ঢাকায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন করেন তারা। তাদের অভিযোগ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করা হয়েছে। 

সমাবেশে সাংবাদিক নেতারা বলেন, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের কারণে সাংবাদিক নেতা রুহুল আমিন গাজীকে অন্যায়ভাবে দীর্ঘদিন ধরে কারাবন্দি রাখা হয়েছে। অথচ একই আইনে অনেক আসামি জামিনে মুক্তি পেয়েছেন। তার অপরাধ তিনি সাংবাদিকদের ন্যায্য দাবির পক্ষে অবস্থান নিয়ে কথা বলতেন। একইভাবে সাংবাদিক নেতা শওকত মাহমুদকে মামলা দিয়ে হয়রানি করা হচ্ছে।’

সাংবাদিক নেতারা উল্লেখ করেন, ‘আইনমন্ত্রী বলেছিলেন– ডিজিটাল আইনে সাংবাদিক গ্রেফতার করা হবে না। তবুও একের পর এক সাংবাদিকদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। দেশে মুক্ত সাংবাদিকতায় বড় বাধা সৃষ্টি করেছে এই আইন। তাই আমরা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের জোর দাবি জানাচ্ছি।’

বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব এম এ আজিজের তথ্যানুযায়ী, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে এখন পর্যন্ত দেশে ৯০০ মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮০০ মামলাই সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে। এসব মামলায় অনেক সাংবাদিক কারাগারে আছেন।’

ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক সভাপতি মুরসালিন নোমানীর মন্তব্য, ‘ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের সময় সাংবাদিকরা এর প্রতিবাদ করলে আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, এটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় কোনও বাধা সৃষ্টি করবে না। তবে সাংবাদিক আজহারকে গ্রেফতারের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে– এটি সাংবাদিকদের কণ্ঠরোধ করার আইন।’

আজহার মাহমুদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তার বড় ভাই বলেন, ‘আজহার নির্ভীক, সাহসিকতা ও সত্য প্রকাশের সাংবাদিকতা করে বলেই আইনের ভয় না পেয়ে আদালতে আত্মসমর্পণ করেছে।’