আইন সংস্কার ও সীমানা পুনর্নির্ধারণে ইসির কমিটি   

আইন ও বিধি সংস্কার এবং সীমানা পুনর্নির্ধারণ বিষয়ক কমিটি গঠন করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। কমিশনার রাশেদা সুলতানাকে আহ্বায়ক করে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিদ্যমান নির্বাচন সংক্রান্ত বিভিন্ন আইন, বিধি যুগোপযোগী করার লক্ষ্যে আইন ও বিধিমালা সংস্কার কমিটি এবং কমিশনার আনিছুর রহমানকে আহ্বায়ক করে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৭ এপ্রিল) কমিশন সূত্র এ তথ্য জানিয়েছে।

সম্প্রতি এ দুটি কমিটি গঠনের বিষয়টি গেজেট আকারে প্রকাশিত হয়েছে। দুটি কমিটিতেই নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখার কর্মকর্তাদের সদস্য করা হয়েছে।

গেজেটে আইন ও বিধি সংস্কার কমিটির এখতিয়ারে বলা হয়েছে:

(ক) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের বিদ্যমান নির্বাচনি আইনসহ সব আইন ও বিধিমালাগুলো যাচাই-বাছাই শেষে যুগোপযোগী এবং সংবিধানের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ করার বিষয়ে সুপারিশ প্রদান।

(খ) মাঠ পর্যায়ের নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কর্মকর্তাদের মতামত গ্রহণ এবং প্রয়োজনে নির্বাচন কমিশনের তাদের সঙ্গে মতবিনিময়।

(গ) সংবিধানের ১১৮ অনুচ্ছেদ অনুসারে নির্বাচন কমিশন গঠন এবং নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ সংক্রান্ত আইন প্রণয়নের সুপারিশ প্রণয়ন।

(ঘ) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ও অন্যান্য মামলা পরিচালনার জন্য আইনজীবী প্যানেল পুনর্বিন্যাস ও সময়ে সময়ে মামলাগুলোর বিষয়ে পর্যালোচনা।

(ঙ) নির্বাচনি প্রচারণা ব্যয় (জন তহবিল) আইন প্রণয়ন।

(চ) নির্বাচন সংশ্লিষ্ট যেকোনও আইন বিষয়ে পর্যালোচনা ও পরামর্শ প্রদান।

(ছ) আইন বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গ্রহণ ও কনসালটেন্ট নিয়োগ করতে পারবে।

এদিকে সীমানা পুনর্নির্ধারণ, জাতীয় এবং স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের নির্বাচন প্রস্তুতি এবং উপকারভোগী পর্যায়ে আলোচনা বিষয়ক কমিটির এখতিয়ারে বলা হয়েছে:

(ক) নির্বাচনি সীমানা নির্ধারণ কার্যক্রম পরিচালন এবং আপত্তি মীমাংসার ওপর পরামর্শ প্রদান।

(খ) জাতীয় সংসদ এবং গুরুত্বপূর্ণ নির্বাচনি তফসিল প্রণয়ন এবং যাবতীয় প্রস্তুতিমূলক কার্যক্রমের ওপর পরামর্শমালা প্রস্তুতকরণ এবং কমিশনের সভা-সেমিনার ইত্যাদি।

(গ) রাজনৈতিক দল এবং নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সংগঠনের সঙ্গে বৈঠক এবং বৈঠক প্রসূত আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে করণীয় বিষয় নির্ধারণে পরামর্শ প্রদান।

(ঘ) নির্বাচন পর্যবেক্ষণে দেশি ও বিদেশি পর্যবেক্ষকদের জন্য নীতিমালা প্রণয়ন এবং তাদের সহযোগিতা বিষয়ক পরামর্শ প্রদান।

(ঙ) নির্বাচন আচরণবিধি পরিবীক্ষণ কর্মকাণ্ড কার্যকরের ওপর সুপারিশ প্রণয়ন।

(চ) কমিশন সচিবালয় এবং মাঠ পর্যায়ের দফতরগুলোর পরিদর্শনের কর্মসূচি প্রণয়ন, প্রতিবেদন মূল্যায়ন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয় আইন, ২০০৯ অনুসারে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালন এবং তার ওপর ভিত্তি করে নথি ব্যবস্থাপনা, সার্বিক উন্নয়ন এবং বাস্তবসম্মত সংস্কারকরণের পরামর্শ প্রদান।