অটোরিকশার জমা বৃদ্ধি নিয়ে মালিক-চালকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি 

যাত্রীদের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের বিষয়ে দীর্ঘদিন ধরে সিএনজি চালিত অটোরিকশার চালকরা অভিযোগ করে আসছেন, মালিকপক্ষ সরকার নির্ধারিত জমার চাইতে অধিক আদায় করে। সেকারণে ‌'মিটারে' অটোরিকশা চালানো সম্ভব হচ্ছে না। অন্যদিকে অটোরিকশার মালিকরা বলছেন, বর্তমান বাজারে সিএনজির যন্ত্রাংশসহ সরকারি ভ্যাট-ট্যাক্স বেড়ে যাওয়ায় সরকার নির্ধারিত ৯০০ টাকা জমা রাখা সম্ভব নয়। এরই মধ্যে দৈনিক জমার পরিমাণ বৃদ্ধির বিষয়ে বিআরটিএ-কে জানালেও এখন পর্যন্ত কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না।

শনিবার (২১ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের ভেতরে ও বাইরে মালিক-চালকদের পাল্টাপাল্টি কর্মসূচিতে তারা এসব কথা বলেন। 

প্রেসক্লাবের বাইরে ঢাকা জেলা সিএনজি অটোরিকশা, মিশুক চালক ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতা সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘সিএনজি চালক নয়, বরং মালিকদের কাছে ঢাকার ১ কোটি যাত্রী জিম্মি। বিআরটিএ কর্তৃপক্ষের একতরফা নির্দেশ অনুযায়ী এ ক্ষুদ্র যানটির দৈনিক জমা ৯০০ টাকা করা হয়েছে। মালিকরা এর চেয়েও অধিক হারে জমা নিয়ে থাকেন। অনেক ক্ষেত্রে গাড়ির গ্যারেজ ভাড়াও দিতে হয় চালককে।

প্রায় একই সময়ে প্রেসক্লাবের ভেতরে জমা বৃদ্ধির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর সিএনজি অটোরিকশা মালিক সমিতি ঐক্য পরিষদ। সরকার নির্ধারিত সিএনজি জমার অতিরিক্ত আদায়ের বিষয়ে জানতে চাইলে সমিতির সভাপতি মো. বরকত উল্লাহ ভুলু বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘সরকার সিএনজির জমা নির্ধারণ করেছিল ২০১৫ সালে। এর মাঝে কয়েক দফা সিএনজি গ্যাসের দাম ও যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধিসহ সরকারি ভ্যাট ট্যাক্স বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অবস্থায় আমাদের পক্ষে দৈনিক জমা ৯০০ টাকা নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না।'

তিনি আরও বলেন,  '২০১৮ সালে আমরা মন্ত্রণালয়ের জানিয়েছি জমা বৃদ্ধির জন্য। সেখান থেকে বিআরটিএ-র কাছে পাঠিয়েছে সিএনজি জমা সমন্বায় করার জন্য। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয়, এখন পর্যন্ত তারা এ বিষয়ে কোনও প্রকার পদক্ষেপ নেয়নি।'

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ ও গাজীপুর জেলার প্রাইভেট সিএনজি অটোরিকশা ঢাকা মহানগরে চলাচল বন্ধসহ দৈনিক জমা ও চালকের মিটারের ভাড়া বৃদ্ধি করার দাবি জানান মো. বরকত উল্লাহ ভুলু। তিনি বলেন, 'এই দাবিগুলো মানা হলে সিএনজি জমা নিয়ে যে চলমান সংকট তা দূর হবে।'