চাকরি না ছাড়ায় নববধূকে হত্যা

মানিকগঞ্জের ঘিওরে নববধূ সুমি আক্তারকে (২২) হত্যার ঘটনায় স্বামী মো. রাসেল মোল্লা রুপককে (২৮) গ্রেফতার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। সিআইডির এলআইসি শাখার একটি টিম অভিযান চালিয়ে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করে।

বুধবার (২৭ জুলাই) দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান সংস্থাটির এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর।

মো. রাসেল মোল্লা রুপক জেলার ঘিওর উপজেলার বাসিন্দা। সে মানিকগঞ্জ জজ কোর্টে অ্যাডভোকেটের সহকারী হিসেবে ৯ বছর ধরে কাজ করতো।

সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এলআইসি শাখার বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধরপুলিশ সুপার মুক্তা ধর বলেন, ‘হত্যার ঘটনায় মো. রাসেল মোল্লা রুপককে একমাত্র আসামি করে ঘিওর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন সুমি আক্তারের বাবা মো. রহম আলী। এরপর সিআইডি ছায়াতদন্ত শুরু করে। পরে সংগৃহীত তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে ঘটনার সঙ্গে রুপকের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়।’

তিনি বলেন, ‘প্রায় আড়াই মাস আগে সুমি আক্তারের সঙ্গে বিয়ে হয় মো. রাসেল মোল্লা রুপকের। বিয়ের আগে থেকেই সুমি এসডিআই নামে একটি বেসরকারি সংস্থায় বানিয়াজুড়ি ইউনিয়নে মাঠকর্মী হিসেবে কাজ করতো। কথা ছিল বিয়ের পরও চাকরি করবে। কিন্তু পরে স্বামীর পরিবারের মত পাল্টে যায়। চাকরি ছাড়ার বিষয়টি ছাড়াও শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সুমির ওপর নির্যাতন করতো। এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জুলাই সকাল ১০টায় রুপকের সঙ্গে সুমির বাগবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে সুমিকে কিল-ঘুসি ও লাথি মারতে থাকলে মা রওশন আরা বেগম রুপককে থামানোর চেষ্টা করেনে। কিন্তু রুপক আরও উত্তেজিত হয়ে দায়ের কোপে রক্তাক্ত জখম করলে ঘটনাস্থলেই সুমির মৃত্যু হয়। পরে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় রুপক।’

মুক্তা ধর বলেন, ‘সুমি ইতোমধ্যে চাকরি ছাড়ায় বিষয়টি অফিসে জানিয়েছে বলে শ্বশুরবাড়ির লোকদের জানায়। অফিস তার বিকল্প দক্ষ কর্মী খুঁজছিল। বিকল্প না পাওয়া পর্যন্ত তাকে চাকরি না ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছিল।’