‘বিশ্বব্যাংক চলে গেলেও পদ্মা সেতু হয়েছে, ইচ্ছা থাকলে সড়ক দুর্ঘটনাও কমবে’

‘নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)’- এর প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান ইলিয়াস কাঞ্চন বলেছেন, ‘বিশ্বব্যাংক চলে যাওয়ার পরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার ফলে যেমন পদ্মা সেতু হয়েছে, তেমন সরকার ইচ্ছা করলে সড়ক দুর্ঘটনাও অনেক কমে যাবে।’
 
বুধবার (১২ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ১১টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সন্ত্রাস বিরোধী রাজু ভাস্কর্যে সামনে ২২ অক্টোবর ‘জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস’ উপলক্ষে জনসচেতনতা ও নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে শিক্ষার্থী সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা) ঢাবি শাখার এটি আয়োজন করে। 

সমাবেশে সাধারণ হেলমেট কতটুকু অনিরাপদ তা বোঝাতে একটি হেলমেট প্রদর্শনী দেখানো হয়। এতে দেখা যায়, হাতুড়ির এক আঘাতেই সাধারণ হেলমেটগুলো সহজে ভেঙে যায়। 

সমাবেশে ইলিয়াস কাঞ্চন বলেন, ‘সড়ক নিরাপদে জাতিসংঘের দেওয়া প্রস্তাবগুলো যেমন নিরাপদ সড়ক ব্যবস্থাপনা, আনফিট গাড়ি নিষিদ্ধ করা এবং যাত্রীদের মধ্যে সচেতনতার প্রচারণা চালানো হয়; সর্বোপরি একটি দুর্ঘটনা ঘটলে যে শাস্তির নির্দেশনা আছে সেটি কার্যকর করা হলে সড়কে অর্ধেক দুর্ঘটনা কমানো সম্ভব।’ 

জাতিসংঘ গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যত গতি তত ক্ষতি। গতিকে মারো, জীবনকে নয়। তবে শুধুমাত্র গাড়ির চালক নয়, গাড়ির বেপরোয়া গতির জন্য যাত্রীরাও দায়ী। বেপরোয়া চালককে দমানোর দায়িত্ব তাদের। পথচারীদের অসচেতনতার কারণে সবচেয়ে বেশি দুর্ঘটনা ঘটে। অন্যায়ের সুযোগ দেওয়া যাবে না। অপরাধ করলে শাস্তি দিতে হবে, নইলে শৃঙ্খলা নিশ্চিত করা সম্ভব হবে না।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘আমাদের জন্য দুর্ভাগ্যের যে এখনও প্রতিদিন অনেকে সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাচ্ছেন। আমাদের সচেতনতা অভাব, সড়ক আইনের দুর্বলতা এবং চালকদের কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে। বাংলাদেশ সরকার এরই মধ্যে অনেকগুলো চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছে। নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতের চ্যালেঞ্জও মোকাবিলা করবে। শিক্ষার্থীরা ২০১৮ সালেও নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলন করেছে। এরপরে সরকার সড়ক আইন ২০১৮ পাস করেছে। এই আইনের সব দিক যেন বাস্তবায়ন করা হয় আমরা সে দাবি জানাচ্ছি।’

সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ কমিটির সদস্য সচিব এনামুল হক এবং আহ্বায়ক রিফাত শাওন।