বরিশাল বাদে সব রুটেই লঞ্চ ছেড়েছে সদরঘাট থেকে

রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট নৌ-টার্মিনাল থেকে বরিশাল ছাড়া বাকি সব রুটেই লঞ্চ চলাচল অব্যাহত রয়েছে। শুক্রবার (৪ নভেম্বর) ভোরে বরিশাল-ভোলা রুটে এবং সন্ধ্যার পর সদরঘাট থেকে কোনও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি, কোনও লঞ্চ ঘাটেও ফেরেনি।

তবে লঞ্চ মালিকরা বলছেন, যাত্রী না থাকায় লঞ্চ ছাড়ছেন না তারা। আর আগাম কোনও ঘোষণা ছাড়া লঞ্চ বন্ধে ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাদারীপুর, চাঁদপুর, খুলনাসহ অন্যান্য রুটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে বরিশালগামী লঞ্চগুলো বন্ধ রয়েছে। লঞ্চের শ্রমিকরা ঘাটে ও লঞ্চে অলস সময় পার করছেন। লঞ্চ না চলার আশঙ্কায় ঘাটে অল্পসংখ্যক যাত্রী এসেছে। কিন্তু পূর্ব ঘোষণা ছাড়া লঞ্চ বন্ধ করায় যারা এসেছে, হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছেন।

রাজধানীর লালবাগ এলাকা থেকে সদরঘাট এসেছেন বরিশালগামী যাত্রী রাইছুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘সকালে একজন পরিচিত ব্যক্তির মাধ্যমে খোঁজ নিয়েছিলাম সদরঘাটে লঞ্চ চলছে কিনা। সে বলেছিল চলছে। এখন ঘাটে এসে দেখি বরিশাল ছাড়া সব রুটে লঞ্চ যাচ্ছে। কোনও ঘোষণা ছাড়া এভাবে লঞ্চ বন্ধ করায় ভোগান্তিতে পড়েছি।’

একাধিক লঞ্চ শ্রমিক বলেন, ‘বিএনপির সমাবেশের কারণে বাসসহ সবকিছুই বন্ধ বরিশালে। তাই যাত্রীও আসেনি ঘাটে। যাত্রী এলে লঞ্চ ছাড়তাম আমরা।’

লঞ্চ বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম ভূঁইয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘যাত্রী না থাকলে লঞ্চ কীভাবে চালাবো। ফারহানের একটা লঞ্চ ছাড়তে চাইছিল, যাত্রী না থাকায় তারাও বাতিল করেছে। বরিশাল থেকে আমার একটা লঞ্চ আসার কথা ছিল, যাত্রীর অভাবে আসতে পারেনি।’

বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ‘লঞ্চ বন্ধের কারণ আমরা জানি না, মালিকপক্ষ কিছু জানায়নি আমাদের। মালিকপক্ষই বলতে পারবেন কেন লঞ্চ বন্ধ।’