হাসপাতালে আসতে অতিরিক্ত ভাড়া গুনতে হচ্ছে রোগীদের

শনিবার ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের জরুরি বিভাগে তেমন ভিড় লক্ষ্য করা যায়নি। সাপ্তাহিক ছুটির দিন ও বিএনপির গণসমাবেশকে কেন্দ্র করে রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ থাকায় এমন চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। সমাবেশকে কেন্দ্র করে হতাহতের আশঙ্কা করা হলেও এখনও পর্যন্ত এ ধরনের কোনও রোগী আসেননি। এ তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মেডিক্যাল হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া।

শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত  ঢাকা মেডিক্যালের জরুরি বিভাগ ঘুরে দেখা যায়, অন্যান্য দিনের তুলনায় রোগীর সংখ্যা কম ছিল। তারা কেউ রিকশা, কেউ সিএনজি, কেউবা অ্যাম্বুলেন্সে করে এসেছেন। চিকিৎসা নিতে আসা রুগীদের মধ্যে সাধারণ রোগীর সংখ্যাই বেশি।

রাস্তা ফাঁকা থাকলেও হাসপাতালে আসতে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে হচ্ছে রোগীদের। ফলে  বেশি ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে যাত্রীদের। ঢামেক জরুরি বিভাগের সামনে কথা হয় মায়ের চিকিৎসা করাতে আসা আনোয়ার হোসেনের সঙ্গে। তিনি জানান, আমার মা হঠাৎ অসুস্থ পড়েন। শাহবাগ থেকে এসেছি। ২০০ টাকা সিনএনজি ভাড়া নিলো। রাস্তা পুরা ফাঁকা। সিএনজি পর্যাপ্ত ছিল কিন্তু ভাড়া বেশি।

ঢাকা মেডিক্যালে আজ  ঢাকার বাইরে থেকে আসা রোগী একদমই চোখে পড়েনি। যাদের সঙ্গে কথা হয়, তাদের বেশিরভাগই ঢাকার আশেরপাশের। তবে যারা হাসপাতালে ছেড়ে যাচ্ছেন, তাদের বেশিরভাগই ঢাকার বাইরের। ৬ দিন আগে ছেলের চিকিৎসা করাতে নীলফামারী থেকে ঢাকা মেডিক্যালে এসেছিলেন আয়েশা বেগম। তিনি বলেন, ‘ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে যাচ্ছি। গাড়ি চললে বাসে যাওয়া যেতো। এখন অ্যাম্বুলেন্স নিতে হলো ৯ হাজার টাকায়। আমি গরিব মানুষ।’

ঢামেক পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া জানান, মূলত ছুটির দিন হওয়ায় জরুরি বিভাগে চাপ কম ছিল। আজকে সাধারণ রোগীর সংখ্যাই বেশি ছিল। আমরা এখনও পর্যন্ত কোনও হতাহত রোগীর সন্ধান পাইনি।’