সন্ধ্যার পর যাত্রীদের ভিড়, সদরঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক

বিএনপির ঢাকা বিভাগীয় সমাবেশ ঘিরে গত ৩ দিন যাত্রী সংকটের পর শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা থেকে আবারও সচল হতে শুরু করেছে সদরঘাট টার্মিনাল থেকে লঞ্চ চলাচল। সমাবেশ শেষ হওয়ার পর থেকেই ঘাট এলাকায় বাড়তে থাকে যাত্রীদের উপস্থিতি। যাত্রী থাকায় রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

সরেজমিনে দেখা যায়, সন্ধ্যার পর চিরচেনা ব্যস্ত রূপে ফিরে এসেছে সদরঘাট। টার্মিনালের বাইরে, ভেতরে ও পন্টুনে যাত্রীদের ব্যাপক উপস্থিতি রয়েছে। পন্টুনে ভিড়তে শুরু করেছে লঞ্চগুলো। টিকিট বিক্রিতে ব্যস্ত লঞ্চের স্টাফরা।

ঘাটের নৌ-ট্রাফিক ইনস্পেক্টর অফিস সূত্রে জানা যায়, ইলিশা ও বরিশাল রুটে আজ  কমপক্ষে ৭টি লঞ্চ চলবে। কয়েকটি লঞ্চে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক যাত্রী উঠেছেন। ঘাটে যাত্রীর চাপ থাকায়, অপেক্ষা করছে লঞ্চগুলো। গত তিন দিন বন্ধ থাকার পর ঢাকা-বরগুনা রুটেও আজ  লঞ্চ চলাচল শুরু হয়েছে।

সদরঘাটের নৌ-পরিবহন দফতর থেকে জানা যায়, শনিবার সকালে বরিশাল ও ভোলা থেকে একটি করে লঞ্চ আসলেও যাত্রী বাড়ায় আজ  বেশ কয়েকটি লঞ্চ এসব রুটে ঢাকা থেকে ছেড়ে যাবে। বরগুনা রুটেও দুইয়ের অধিক লঞ্চ ঢাকা থেকে ছড়ে যেতে পারে। ঢাকা-চাঁদপুর রুটে বিকালেই বেশ কয়েকটি লঞ্চ ছেড়ে গেছে।

ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তারা জানান, সাধারণত সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে প্রতিদিন ৭০-৭৭টি লঞ্চ ছেড়ে যায় এবং সমানসংখ্যক লঞ্চ আসে। গত তিন দিনে মাত্র ৬-৭টি করে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। আজ যাত্রী হওয়ায় ৩০-৩৫টি লঞ্চ ছেড়ে যেতে পারে।

ভাণ্ডারিয়া রুটের এমভি টিপু-১৩ এর স্টাফ আফজাল বলেন, ‘শুক্রবার (৯ ডিসেম্বর) ৫০ জন নিয়ে ঢাকায় এসেছি। যাত্রী না থাকায় ভাণ্ডারিয়া থেকে একটি লঞ্চই ছেড়েছে কাল। এ অবস্থায় ভেবেছিলাম, আজ  হয়তো ফেরা হবে না। এখন যা অবস্থা লঞ্চে ধারণ ক্ষমতা পূর্ণ হয়ে যাবে।’

অভ্যন্তরীণ নৌ-চলাচল (যাত্রী পরিবহন) সংস্থার প্রেসিডেন্ট মাহবুব উদ্দিন আহমদ বীর বিক্রম বলেন, ‘সন্ধ্যা থেকে ঘাটে যাত্রীর চাপ আছে। রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল পুরোদমে স্বাভাবিক হবে।’

বিআইডব্লিউটিএ সদরঘাটের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম পরিচালক মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, ‘রাত থেকেই লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক হচ্ছে। যাত্রী না থাকায় গত কয়দিন বিড়ম্বনা হয়েছে।’