বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে দেশে ৫৪ জন নারী ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। এর মধ্যে ৩৮ জন কন্যাশিশু। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই তথ্য জানিয়েছে। পরিষদের কেন্দ্রীয় লিগ্যাল এইড উপ-পরিষদ ১৩টি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে এই পরিসংখ্যান জানায়।
এর আগে, ২০২২ সালের জানুয়ারিতে ৭০ জন নারী ও কন্যাশিশু ধর্ষণের শিকার হন বলে জানায় মহিলা পরিষদ।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে মহিলা পরিষদ জানায়, পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদ অনুসারে জানুয়ারি মাসে দেশে ২৪০ জন নারী ও কন্যাশিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে ধর্ষণের শিকার হন ৫৪ জন। চার কন্যাশিশুসহ ছয় জন দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন। চার জন কন্যাশিশুসহ সাত জনকে ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও দুই কন্যাশিশুসহ পাঁচ জনকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে।
পাশাপাশি যৌন নিপীড়নের শিকার হয়েছেন পাঁচ কন্যাশিশুসহ ছয় জন। উত্ত্যক্তকরণের শিকার হয়েছেন পাঁচ কন্যাশিশুসহ ছয় জন। এরমধ্যে উত্ত্যক্তকরণের কারণে আত্মহত্যা করেছেন দুই জন। নারী ও শিশু পাচারের ঘটনা ঘটেছে দুটি।
আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার মতো ঘটনার শিকার হয়েছেন চার জন। এরমধ্যে তিন জনের অগ্নিদগ্ধের কারণে মৃত্যু হয়েছে।
যৌতুকের কারণে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন ১১ জন। এরমধ্যে দুই জনকে যৌতুকের কারণে হত্যা করা হয়েছে। শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছেন মোট ১৪ জন। এরমধ্যে এক জন কন্যা।
পাঁচ জন গৃহকর্মী নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। এরমধ্যে এক গৃহকর্মীকে হত্যার ঘটনা ঘটেছে।
এছাড়া বিভিন্ন কারণে ১৩ জন কন্যাশিশুসহ ৩৬ জনকে হত্যা করা হয়েছে। এছাড়াও দুই জনকে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে। চার জন মেয়েশিশুসহ ২৫ জনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ১২ জন কন্যাসহ ৩৭ জনের আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে। এরমধ্যে একজন কন্যাসহ দুই জন আত্মহত্যার প্ররোচনার শিকার হয়েছেন। এছাড়াও একজন আত্মহত্যার চেষ্টা করেছেন।
আট মেয়েশিশুসহ ১১ জন অপহরণের ঘটনার শিকার হয়েছেন। পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন একজন। একজন কন্যাশিশুসহ পাঁচ জন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছে।
বাল্যবিয়ের ঘটনা প্রতিরোধ করা হয়েছে পাঁচটি। এছাড়া আট জন কন্যাসহ ১০ জন বিভিন্নভাবে নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।
আরও পড়ুন-
জানুয়ারিতে ৭০ ধর্ষণ: মহিলা পরিষদ