বসুন্ধরা সিটি শপিং মল

অভিযানে গিয়ে ফিরে আসতে হলো নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের ম্যাজিস্ট্রেটকে

রাজধানীর বসুন্ধরা সিটি শপিং মলের ফুড কোর্টে অভিযান পরিচালনার কথা ছিল বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের (বিএফএসএ)। তবে সেখানে থাকা নিরাপত্তাকর্মীদের বাধার মুখে পড়ে ফিরে আসতে হয়েছে অভিযান পরিচালনাকারী দলটিকে। এ সময় সাংবাদিকদেরও মিডিয়া কাভারেজ না দেওয়ার জন্য হুমকি দেওয়া হয়। একপর্যায়ে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলের ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়। এমন পরিস্থিতিতে অভিযান পরিচালনা না করে চলে আসেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ অন্যান্য কর্মকর্তা।

বুধবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর পান্থপথে বসুন্ধরা সিটিতে অভিযান চালাতে গেলে এ অবস্থা সৃষ্টি হয়। পরে অভিযান না চালিয়েই ফিরে যায় নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের টিম।

সংশ্লিষ্টরা জানান, বসুন্ধরা সিটিতে অভিযান পরিচালনা করার সময় মার্কেট কর্তৃপক্ষের বাধার মুখে পড়ে অভিযান পরিচালনাকারী দলটি। ঘটনার সংবাদ সংগ্রহ ও ছবি তুলতে গেলে উত্তেজিত হয়ে মার্কেট কর্তৃপক্ষ আরটিভির ক্যামেরা ভাঙচুর করে। এ সময় বিভিন্ন গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর চড়াও হন তারা।

আরটিভির প্রতিবেদক এ আর বাদল জানান, নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ সেখানে অভিযান পরিচালনা করবে জানিয়ে আমাদের নিয়ে যায়। অভিযান পরিচালনা করার সময় মার্কেটের নিরাপত্তাকর্মীরা এসে বাধা দেয় এবং জানায় অভিযান চালাতে দিবে না। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের কাজ করতে দিবে না জানিয়ে ক্যামেরা বন্ধ করতে বলে। আমাদের ক্যামেরায় হাত দিয়েছে এবং ভাঙচুর করেছে। ম্যাজিস্ট্রেটকে কোণঠাসা করে ফেলে তারা। তারপর সেখান থেকে ফিরে যেতে বাধ্য হয় ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এর আগে, অভিযান পরিচালনার সময় বেশ কয়েকটি দোকানে অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ, মেয়াদোত্তীর্ণ খাবার পান তারা। নিরাপত্তায় নিয়োজিত কর্মীরা অভিযানে থাকা সদস্যদের জানান, অনুমতি ছাড়া এখানে অভিযান চালানো যাবে না। তবে বিএফএসএ কর্মকর্তারা বারবার জানান তাদের অভিযান পরিচালনা করতে অনুমতি লাগে না। ভ্রাম্যমাণ আদালতকে বাধা দিবেন না।

বসুন্ধরা মার্কেট কর্তৃপক্ষ বারবার জানায় মিডিয়া কাভারেজ করা যাবে না।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শপিং মলের ফুডকোর্টগুলোতে বিক্রি হওয়া খাবার নিয়ে অভিযোগ তোলেন এক নারী ক্রেতা। ওই নারীর বক্তব্য ধারণ করতে গেলেই উত্তেজিত হয় মার্কেট কর্তৃপক্ষ।

পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখান থেকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটসহ প্রতিষ্ঠানটির উপপরিচালক আব্দুস সোবহান চলে আসেন এবং ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে জানান।

এই প্রসঙ্গে জানতে নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান মো. আব্দুল কাইউম সরকারকে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।