ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুদকের অভিযান

দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এনফোর্সমেন্ট ইউনিট থেকে ঢাকা ও চট্টগ্রামে দুটি অভিযান চালানো হয়েছে। একইসঙ্গে তিনটি সরকারি দফতরে চিঠি দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক ও জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শফিউল্লাহ আদনান জানান, গাড়ির ফিটনেস সনদসহ অন্যান্য সেবা প্রদানে দালালদের মাধ্যমে ঘুষ দাবির অভিযোগ পেয়ে দুদকের প্রধান কার্যালয় থেকে রাজধানীর মিরপুরে বিআরটিএ অফিসে অভিযান চালানো হয়। দুদকের এনফোর্সমেন্ট টিমের সদস্যরা ছদ্মবেশে সেখানে অবস্থান করেন। পরে ওই কার্যালয়ের উপ-পরিচালকের সঙ্গে অভিযোগগুলোর বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

অভিযোগে উল্লেখিত মোটরযান পরিদর্শকের ব্যাপারে তিনি জানান, মোটরযান না দেখেই গাড়ির ফিটনেস সনদ দেওয়ার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে একটি বিভাগীয় তদন্ত চলমান রয়েছে। আনসার সদস্য ও দালালদের দৌরাত্ম্যের বিষয়ে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করেন মর্মে দুদক টিমকে জানান। অভিযানকালে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করা হয়। পরবর্তীতে এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করা হবে।

অন্যদিকে, ঠিকাদারের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর পশ্চিম বাকলিয়া ওয়ার্ডে ৯ কোটি টাকা ব্যয়ে ড্রেন নির্মাণ কাজে অনিয়মের অভিযোগ পেয়ে দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ থেকে আরেকটি এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযান পরিচালনাকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলীর সাথে কথা বলা হয় এবং চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের একজন নির্বাহী প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়। অভিযানকালে ড্রেনের নির্মাণকাজ পরিদর্শনে আপাতদৃষ্টিতে তেমন কোনও অনিয়ম টিমের কাছে পরিলক্ষিত হয়নি। রেকর্ডপত্র বিশ্লেষণ করে পরবর্তীতে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশনে দাখিল করার কথা রয়েছে।