ভৈরবে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ: বিভিন্ন স্টেশনে আটকা ৫ ট্রেন

কিশোরগঞ্জের ভৈরবে দুটি ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের ঘটনায় এখনও চলছে উদ্ধার কাজ। এ দুর্ঘটনার কারণে বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়েছে পাঁচটি আন্তনগর ট্রেন। ফায়ার সার্ভিস, রেলওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি মিলে উদ্ধার কাজ চালালেও এখন পর্যন্ত ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হতে কতক্ষণ লাগতে পারে তাও জানাতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা থেকে সিলেটগামী কালনী এক্সপ্রেস (৭৭৩), সিলেট থেকে ঢাকাগামী পারাবত এক্সপ্রেস (৭১০) ও জয়ন্তিকা এক্সপ্রেস (৭১৮), ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস (৭১২) এবং চট্রগ্রাম থেকে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস (৭৮৫) বিভিন্ন স্টেশনে আটকা পড়ে আছে। এছাড়াও শিডিউল বিপর্যয়ে পড়েছে আরও অন্তত আটটি আন্তনগর ট্রেন।

এসব ট্রেনে আটকে পড়া যাত্রীরা কখন গন্তব্যে পৌঁছাতে পারবেন কিংবা সংশ্লিষ্ট রুটে কখন ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে তা জানাতে পারেনি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে জানতে চাইলে রেলপথ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা সিরাজ-উদ-দৌলা খান বাংলা ট্রিবিউনকে জানান, দুর্ঘটনার পরপরই উদ্ধারকারী ক্রেনসহ প্রয়োজনীয় জনবল নিয়ে ফায়ার সার্ভিস, রেলওয়ে পুলিশ, জেলা পুলিশ, র‍্যাব ও বিজিবি মিলে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। তবে ঠিক কত সময় পর উদ্ধার কাজ শেষ হবে সে বিষয়ে তিনি জানাতে পারেননি।

আটকে পড়া এসব ট্রেনের যাত্রীরা দীর্ঘসময় ট্রেনে বসে থেকে অনেকেই অন্য উপায়ে গন্তব্যের উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন। বাংলাদেশ রেলওয়ে হেল্পলাইন নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকের একটি গ্রুপে আটকে পড়া এসব ট্রেনের যাত্রীরা এমনটি লিখেছেন।

এর আগে সোমবার বিকালে কিশেরগঞ্জের জগন্নাথপুর রেল ক্রসিং এলাকায় আন্তনগর এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেস ট্রেন ও একটি মালবাহী ট্রেনের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় এগারোসিন্দুর এক্সপ্রেসের কয়েকটি বগি যাত্রীসহ উল্টে যায়। 

মালবাহী ট্রেনটি সিগন্যাল না মানায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে বলে রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত হওয়া গেছে। তবে হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।