ঈদুল আজহার ষষ্ঠ দিনে কমলাপুরে ট্রেনে ফিরতি যাত্রীদের ঢল নেমেছে। তবে করোনা সতর্কতা হিসেবে রেলওয়ের দেওয়া মাস্ক পরার নির্দেশনা মানছে না কেউ। নেই স্বাস্থ্যবিধির বালাই। এ নিয়ে কর্তৃপক্ষেরও দৃশ্যমান কোনও পদক্ষেপ নেই।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) দুপুর ১২টায় রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে এ চিত্র।
অথচ ২০১৯ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মাইকিং করে এ বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করা হতো।
এর আগে, গত ৮ জুন পবিত্র ঈদুল আজহার পর ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে যাত্রীদের অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
সম্প্রতি করোনা সংক্রমণের হার বেড়ে যাওয়ায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনসমাগমপূর্ণ এলাকায় মাস্ক পরার জন্য নাগরিকদের অনুরোধ জানিয়েছে।
বিশেষত বয়স্ক ও অসুস্থ ব্যক্তিদের জনসমাগম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
এ কারণে ঈদ–পরবর্তী ট্রেনযাত্রায় সব যাত্রীকে মাস্ক পরা এবং স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণের অনুরোধ জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়।
কমলাপুর রেলস্টেশনে তেমন কোনও পদক্ষেপ চোখে পরেনি। হাতেগোনা কয়েকজন মাস্ক পরলেও বেশিরভাগের ক্ষেত্রে তা অনুপস্থিত।
ট্রেনের সাধারণ নন-এসি বগিতে গাদাগাদি করে ঢাকায় আসছেন স্ট্যান্ডিং টিকিটের যাত্রীরা। কেউই স্বাস্থ্যবিধি মানছেন না।
দুপুর ১২টায় রাজশাহী থেকে ঢাকায় আসা আন্তঃনগর এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রী আমিনুল বলেন, তিনি পুরো রাস্তা দাঁড়িয়ে এসেছেন। গাদাগাদি করে দাঁড়িয়ে আসলেও মুখে মাস্ক নেই। জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের কোনও নির্দেশনা পাননি।
রংপুর থেকে আসা যাত্রী রাহিমা বলেন, মাস্ক পরার বিষয়ে কিছু জানেন না। তাই পারেননি।
শুধু তাই নয় টিকিট চেকের দায়িত্বে থাকা টিটিদের কারও মুখে মাস্ক দেখা যায়নি। ট্রেনে খাবারও বিক্রি হচ্ছে খোলামেলা।
কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার মো. সাজেদুল ইসলাম বলেন, যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অচিরেই মাস্ক পরাসহ সচেতনতা কার্যক্রম শুরু হবে বলে তিনি জানান।