সদরঘাটে বন্ধ খেয়াঘাট, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক

বড় দুই দল আওয়ামী লীগ এবং বিএনপির সমাবেশ ঘিরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে রাজধানীর প্রধান নদীবন্দর সদরঘাট এলাকায়। ঘাটে লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক থাকলেও, বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে খেয়াঘাট।

শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) সন্ধ্যায় সদরঘাট এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ঘাটে লঞ্চ থাকলেও যাত্রী উপস্থিতি কম।  যাত্রীর অপেক্ষায় দক্ষিণাঞ্চলগামী বিভিন্ন রুটের লঞ্চগুলো।

ঘাটে অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা যায়, পারাবত ১২, এমভি টিপু ১৩, ফারহান ৭, মর্নিং সান ৫ লঞ্চগুলো। সকালে সুন্দরবন ১৫ ও ১৬ ঢাকায় আসে এবং সন্ধ্যা পারাবত ১২ ও ১৮ সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল থেকে বরিশালের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। পটুয়াখালী ও ঝালকাঠির উদ্দ্যেশে একটি করে লঞ্চ ছেড়ে গেছে। ঘাট এলাকায় দেখা যায়, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সজাগ উপস্থিতি।

খেয়া মাঝিরা বলছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে বলেছেন

সদরঘাটের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, লঞ্চ চলাচল স্বাভাবিক আছে। তবে যাত্রী কম। সারা দিনই বিভিন্ন রুট থেকে লঞ্চ এসেছে এবং ছেড়ে যাচ্ছে। রাতেও ছেড়ে যাবে।

বিকাল ৫টা নাগাদ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে নদী পারাপারকারী খেয়া নৌকাগুলো। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন বুড়িগঙ্গার এই অংশের দুই পারের যাত্রীরা।

খেয়া মাঝিরা বলছেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা খেয়া পারাপার বন্ধ রাখতে বলেছেন। তবে সংশ্লিষ্ট থানা বলছে, খেয়া পারাপার বন্ধ থাকার কথা তাদের জানা নেই।

খেয়া পারাপার বন্ধ থাকায় আধা কিলোমিটার দূরে বাবুবাজার ব্রিজ ব্যবহার করে নদী পার হতে হচ্ছে নিয়মিত যাতায়াতকারীদের। ফলে ভোগান্তিতে পড়ছেন তারা।

সাদাপোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘাটে অবস্থান করছে

ওয়াইজ ঘাট এলাকার খেয়ামাঝি আরিফ বলেন, সারা দিনই নৌকা চালিয়াছি। বিকালে ওইপার (কেরানীগঞ্জ অংশ) থেকে নৌকা বন্ধ করেছে আওয়ামী লীগের নেতারা।

সদরঘাট নৌ-থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুর রহমান খান বলেন, খেয়া পারাপার বন্ধের বিষয়টা জানা নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখবো। আর ঘাট এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার আছে। আমরা নদীতে টহল দিচ্ছি। সাদাপোশাকেও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ঘাটে অবস্থান করছে।

প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত সদরঘাট রুটে বাস চলাচল স্বাভাবিক ছিল। ভিক্টোরিয়া পার্ক থেকে নিয়মিত চলাচলকারী সাভার, ভিক্টর, আজমেরী গ্লোরি ও বিহঙ্গ বাস ছেড়ে যেতে ও আসতে দেখা গেছে। তবে রাত ৮ টা থেকে এই রুটে বাস চলাচল বন্ধ হতে পারে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।