কালকিনিতে বেদেপল্লীতে ‘হামলা’র ঘটনায় উদ্বেগ জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের

মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেদেপল্লীর অন্তত ২০টি বসতঘরে ‘হামলা ও লুটপাটের’ ঘটনায় মামলা না নেওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। শনিবার (১৩ জানুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ উদ্বেগ প্রকাশ করে সংস্থাটি।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মাদারীপুরের কালকিনিতে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বেদেপল্লীর অন্তত ২০টি বসতঘরে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এসময় নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান বেদে সম্প্রদায়ের লোকজন। এ ঘটনায় রাজনৈতিক পক্ষগুলো একে অপরকে দোষারোপ করছে এবং পরস্পরকে দায়ী করে বক্তব্য দিচ্ছে। জানা যায়, পুলিশ এখনও মামলা গ্রহণ করেনি।  

এ প্রসঙ্গে কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘ভোটাধিকার প্রত্যেকের অধিকার। এটি প্রয়োগের কারণে যদি বেদে পল্লীর বাসিন্দারা হামলার শিকার হয়ে থাকেন, তবে তা অত্যন্ত নিন্দনীয়। জাতীয় মানবাধিকার কমিশন এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। কমিশন মনে করে, তদন্ত করে প্রকৃত ঘটনা উদঘাটন করে দ্রুত হামলাকারীদের বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে। ক্ষতিগ্রস্তদের প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদান ও নিরাপত্তা নিশ্চিতের জন্য স্থানীয় প্রশাসন এবং আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, ‘বিভিন্ন সময় ক্ষেত্র বিশেষে কেউ কেউ জনগণকে বিভ্রান্ত করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি করে। অতীতেও এদের দমন করার প্রচেষ্টা নেওয়া হয়েছিল। সেরকমভাবে এখনও বাংলাদেশের প্রত্যেক সম্প্রদায়ের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান নিশ্চিত করা আমাদের কর্তব্য। এক্ষেত্রে কেউ কারও অধিকার যাতে হরণ করতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। বিশেষ করে, অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর অধিকার সুরক্ষা ও মানোন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।’