‘কুংফু-কারাতে শেখানোর নামে কেড়ে নিতেন প্রশিক্ষণার্থীদের সম্ভ্রম’। গণমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশিত হওয়ার পর স্বতঃপ্রণোদিত অভিযোগ (সুয়োমোটো) গ্রহণ করেছে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন। একইসঙ্গে এ বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আগামী ১২ জুন কমিশনে প্রতিবেদন দিতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবকে চিঠি দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৬ মে) জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ইউশা রহমানের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, কুংফু-কারাতে শেখানোর ছলে মেয়েদের যৌন হয়রানি করেছেন বাংলাদেশ জুজুৎসু অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম নিউটন। মেয়েদের মারধর করে আপত্তিকর কাজে লিপ্ত হতে বাধ্য করেছেন তিনি। এমনকি অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর গর্ভপাত করানোর অভিযোগও পাওয়া গেছে তার বিরুদ্ধে। এসব অপকর্মের অসংখ্য প্রমাণ, আপত্তিকর ছবি ও অডিও রেকর্ড রয়েছে গণমাধ্যমের হাতে। এমন প্রতিবেদন কমিশনের নজরে এলে উপপরিচালক এম রবিউল ইসলামের সই করা সুয়োমোটো গ্রহণ করা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অ্যাসোসিয়েশনের অধিকাংশ ট্রেইনি নারী। আর এই নারী খেলোয়াড়দের সঙ্গে সখ্য গড়ে তুলতেন নিউটন। এরপর ভালো চাকরি ও বিদেশে খেলতে নিয়ে যাওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতন করতেন। এমনকি অনুশীলনের আগে মেয়েদের পোশাক পরিবর্তনের কক্ষে ধর্ষণের অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অভিযোগ আছে, সোনাজয়ী ক্রীড়াবিদসহ একাধিক নারী খেলোয়াড়কে ধর্ষণ ও শারীরিক নির্যাতনের মতো অপরাধে জড়িত তিনি। জুজুৎসুর আরেক নারী খেলোয়াড়ের বিরুদ্ধে নিউটনকে সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।
জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সুয়োমোটোতে উল্লেখ করা হয়, ক্রীড়াসহ সব ক্ষেত্রে নারীর অংশগ্রহণ যখন বাড়ছে তখন ক্রীড়াশিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীর সম্ভ্রমহানি, ধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতনসহ অপ্রাপ্তবয়স্ক কিশোরীর গর্ভপাত করানোর মতো যে অভিযোগ রফিকুল ইসলাম নিউটনের বিরুদ্ধে উঠেছে, তা ঘৃণিত ও মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন। কমিশন মনে করে, অভিযোগের বিষয়ে সঠিক তদন্ত করে বিভাগীয় শাস্তির পাশাপাশি যথাযথ আইনে মামলা হওয়া আবশ্যক।