জাবিতে ধর্ষণ: মূল পরিকল্পনাকারীসহ ২ জনের দোষ স্বীকার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নারীকে গণধর্ষণের অভিযোগের মামলায় মূল পরিকল্পনাকারী মামুনুর রশিদ ওরফে মামুন ও তার সহযোগী মো. মুরাদ আদালতে দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছে।

শুক্রবার (৯ ফেব্রুয়ারি) মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়ার থানার পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. মিজানুর রহমান তাদের আদালতে হাজির করেন। এরপর আসামিরা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে রাজি হওয়ায় তা রেকর্ড করার আবেদন করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুজাহিদুল ইসলামের আদালত তাদের জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এরপর তাদের কারাগারে পাঠানো হয়।

আশুলিয়া থানার আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. মাসুদ মিয়া এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

গত বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) মামুনকে রাজধানীর ফার্মগেট এলাকা থেকে এবং মুরাদকে নওগাঁ থেকে তাদের আটক করে র‍্যাব।

এই মামলার অপর আসামিরা হলো, মামলার ১ নম্বর আসামি শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী সাব্বির হাসান সাগর, ৪৬তম ব্যাচের সাগর সিদ্দিক ও ৪৫তম ব্যাচের হাসানুজ্জামান।

গত ৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মোশাররফ হোসেন আবাসিক হলের ৩১৭ নম্বর কক্ষে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে বোটানিক্যাল গার্ডেনে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করে আসামি মোস্তাফিজ ও মামুনুর রশীদ মামুন।

পরে ভয়ভীতি দেখিয়ে ওই নারীকে বাসায় চলে যেতে বলে। মামুন ও মোস্তাফিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের রুমে গিয়ে নারীর স্বামীকেও চলে যেতে বলে।

ওই ঘটনায় ভুক্তভোগীর স্বামী রাতেই বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় ছয় জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন।

আরও পড়ুন:

ধর্ষণকাণ্ডের সেই মামুনের ইয়াবা বিক্রির ‘হটজোন’ জাবি ক্যাম্পাস

জাবিতে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনায় কর্তৃপক্ষ দায় এড়াতে পারে না, বলছে র‌্যাব

জাবিতে ধর্ষণ: ছাত্রলীগ নেতাসহ ৪ জন কারাগারে

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ৪ জনের রিমান্ড চেয়েছে পুলিশ

ধর্ষণে অভিযুক্ত নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করে সর্বোচ্চ শাস্তি চাইলো ছাত্রলীগ

বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে স্বামীকে আটকে স্ত্রীকে ধর্ষণ, ৬ শিক্ষার্থীর সনদ স্থগিত