পিকেএসএফের সঙ্গে রেইজ প্রকল্পের সমঝোতা

৭০ প্রতিষ্ঠানের ২৬ ধরনের প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার পাবেন বিদেশফেরত কর্মীরা

প্রবাসফেরত কর্মীদের একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরি হবে। বিদেশফেরত কর্মীদের প্রথম তালিকা হবে এটি। ২০১৫ সাল থেকে ফেরত আসা কর্মীরাও  এই তালিকার ও তাদের নিয়ে সরকারের চলমান প্রকল্প সুবিধার অন্তর্ভুক্ত হবেন। এছাড়া বিদেশ থেকে ফিরে আসা কর্মীরা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ৭০টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৬টি ট্রেডের প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ পাবেন।

প্রবাসফেরত অভিবাসী কমীদের পুনঃএকত্রীকরণে সহযোগিতা প্রদানের জন্য ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের রেইজ প্রকল্প এবং পিকেএসএফ’র মধ্যে এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি)  দুপুর ১২ টায় ঢাকার ইস্কাটনে প্রবাসী কল্যাণ ভবনে প্রকল্পের সম্মেলন কক্ষে এক অনুষ্ঠানে রেইজ প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সৌরেন্দ্র নাথ সাহা (যুগ্ম সচিব) এবং পিকেএসএফ এর পক্ষে মহাব্যবস্থাপক দিলিপ কুমার চক্রবর্ত্তী নিজ নিজ প্রতিষ্ঠানের পক্ষে স্বাক্ষর করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের পরিচালক আরিফ আহমেদ খান, সহকারী পরিচালক নাজমুল হক, পিকেএসএফ এর উপ-প্রকল্প সমন্বয়কারী গোলাম জিলানী, প্রোগ্রাম ম্যানেজার বিল্লাল হোসেনসহ উভয় প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তারা। এই সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরের ফলে সারা দেশে প্রবাস ফেরত কর্মীরা পিকেএসএফ’র ৭০ টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে ২৬টি ট্রেডের প্রশিক্ষণে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সুযোগ পাবে।  

মূলত বিভিন্ন দেশ থেকে কাজ হারিয়ে বিপুল সংখ্যক কর্মীর পুনঃএকত্রীকরণে এই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পের আওতায় ৩০টি জেলায় স্থাপিত ওয়েলফেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে সারা দেশে প্রকল্পের কার্যক্রম বাস্তবায়িত হচ্ছে।

এ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রবাস ফেরত কর্মীদের একটি তথ্যসমৃদ্ধ ডাটাবেইজ তৈরি হবে; যা বিদেশ ফেরত কর্মীদের জন্য প্রথম কোনও তালিকা। ২০১৫ সাল থেকে ফেরত কর্মীরা প্রকল্প সুবিধার অন্তর্ভুক্ত থাকছেন। প্রকল্পের উপকারভোগী হিসাবে ২ লাখ কর্মীর প্রত্যেককে এককালীন ১৩ হাজার ৫০০ টাকা করে মোট ২৭০ কোটি টাকা নগদ প্রণোদনা দেওয়া হবে।  রেফারেলের আওতায় কর্মীর চাহিদা অনুযায়ী সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রদত্ত আয়বর্ধক প্রশিক্ষণ ও আর্থিক কর্মসূচিতে আন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে তাদের আত্মকর্মসংস্থানে সহযোগিতা করা হবে যেন তারা সমাজে নিজেকে পুনঃপ্রতিষ্ঠার মাধ্যমে সমাজে মাথা উচুঁ করে বেচে থাকতে পারে।