বেইলি রোডে আগুন: হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেন আরও ২ জন

রাজধানীর বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন আরও দুই জন ছাড়া পেয়েছেন। রবিবার (৩ মার্চ) তাদের রিলিজ দেওয়া হয়। বার্ন ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন মো. তরিকুল ইসলাম এ তথ্য জানান।

ভর্তি রোগীদের সর্বশেষ অবস্থা জানিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, ‘ বেইলি রোডে আগুনের ঘটনায় দগ্ধ ১১ জন হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ছয় জন ছাড়া পান শনিবার (২ মার্চ)। আজ পেলেন আরও দুই জন। শ্বাসকষ্টসহ নানা জটিলতা থাকা তিন জনকে হাসপাতালে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে। পুরোপুরি সুস্থ হলে তাদের ছাড়পত্র দেওয়া হবে। এখনই তাদের শঙ্কামুক্ত বলা যাচ্ছে না।’

বার্ন ইনিস্টিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছেন রাজধানীর সূত্রাপুরের কাজী নজরুল ইসলামের ছেলে মো. রাকিব (২৫)। তিনি গ্রিন কোজি কটেজ ভবনের তৃতীয় তলায় একটি প্রাইভেট কোম্পানিতে সেলস অ্যাসোসিয়েট হিসাবে চাকরি করেন।

রাকিবের সহকর্মী মো. হাসান বলেন, ‘ওই প্রতিষ্ঠানে দুই শিপটে কাজ করতে হতো। আমি সকাল শিফটে ছিলাম, তাই রাত ৮টায় বাসায় চলে যাই। রাকিব ছিল দ্বিতীয় শিফটে। তার ডিউটি ছিল রাত ১০টা পর্যন্ত। আগুন লাগলে সে আটকা পড়ে। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন।’

আরেকজন কুমিল্লার মুরাদ নগরের আবুল বাশারের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৫)। পেশায় তিনি ব্যবসায়ী। স্ত্রী সুমাইয়াকে (২৫) নিয়ে ওই ভবনে খেতে গিয়েছিলেন। পরে আগুন লাগলে তারা ভবনে আটকা পড়েন। তিনি বার্ন ইনিস্টিউটের পোস্ট অপারেটিভ ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

এদিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন আরও দুই জন। তাদের মধ্যে একজন জুবায়ের আহামেদ (২৫)। তিনি ওই ভবনের একটি খাবারের হোটেলের কর্মচারী। ফরিদপুর বোয়ালমারী ফেলানগর গ্রামের আব্দুল মান্নানের ছেলে। অপরজন কাচ্চি ভাই রেস্তোরাঁর কর্মচারী ইকবাল হোসেন (২৩)। তিনি নোয়াখালীর সুর্বনাচর উপজেলার আব্দুল কুদ্দুসের ছেলে।

গত ২৯ ফেব্রুয়ারি বেইরি রোডে আগুনের ঘটনায় এ পর্যন্ত ৪৬ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে ৪৪ জনের মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। দুই জনের মরদেহ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। শনিবার ময়নাতদন্তের সময় তাদের ডিএনএ নমুনা নেওয়া হয়েছে।