বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ভঙ্গ করে রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়াদের বিরুদ্ধে দৃশ্যমান কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ক্লাস ও পরীক্ষা বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থীরা।
বুয়েট সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) থেকে কোনও ধরনের ক্লাস ও পরীক্ষায় অংশ নেননি বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।
বুয়েট শিক্ষার্থী সূত্রে জানায়, গতকাল সোমবার রাতে অভিযুক্ত ২ জন শিক্ষার্থী হলে উঠতে চান। এতে করে সেখানে এক ধরনের অস্থিরতা ও বিশৃঙ্খলা তৈরি হয়। পরে গতকাল মধ্যরাতেই ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন তারা। তার প্রেক্ষিতে আজ মঙ্গলবার থেকে কেউ ক্লাস ও পরীক্ষায় বসেনি।
বুয়েট সূত্রে জানা যায়, আগস্টে ক্যাম্পাস খোলার পরপরই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে ক্লাস-পরীক্ষায় বসতে শুরু করে। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় অর্ডিন্যান্সের ১৬ ধারা অনুযায়ী, বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে ছাত্রকল্যাণ পরিচালকের লিখিত অনুমোদন না নিয়ে কোনও ধরনের ছাত্রসংগঠন তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারবে না এবং অনুমতি ছাড়া কোনও ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যাবে না। নতুন উপাচার্য নিয়োগের পর অভিযুক্তদের রাজনীতি সংশ্লিষ্টতার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি কমিটি হয়। সবশেষ গতকাল (সোমবার) দিনগত রাত বারোটার দিকে অভিযুক্তদের মধ্য থেকে দুই শিক্ষার্থী হলে উঠার চেষ্টা করলে হট্টগোল বাঁধে। উপস্থিত শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিক সম্মিলিত সিদ্ধান্ত নেয় যে মঙ্গলবার থেকে গঠিত কমিটির দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা না পর্যন্ত তারা ক্লাস-পরীক্ষায় বসবে না।
সূত্র আরও জানায়, বিষয়টি নিয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থী ও উপাচার্যের সঙ্গে বিকাল চারটায় মিটিং হয়। মিটিংয়ে উপাচার্য আন্দোলনকারীদের ক্লাসে ফিরে যেতে বলেন এবং তাদেরকে জানান, তদন্ত কমিটি কাজ ঠিক গতিতেই এগোচ্ছে। শিক্ষার্থী জানিয়েছে, তারা সকল শিক্ষার্থীর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেবেন ক্লাসে ফেরার বিষয়ে৷
শিক্ষার্থী কল্যাণ উপদেষ্টা অধ্যাপক আল আমিন জানান, শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আমার কোনও আলোচনা হয়নি। তাদের দাবি নিয়ে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও হল প্রশাসন দুটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে, সেগুলোর কাজ চলছে। শিক্ষার্থীদের প্রতি আমাদের আহ্বান থাকবে তারা যেন ক্লাসে ফিরে যায়।
উপাচার্য অধ্যাপক এবিএম বদরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। কথা হয় তার ব্যক্তিগত সহকারী মো. কামরুল হাসানের সঙ্গে। তিনি জানান, উপাচার্যের সঙ্গে কোনও মিটিং হয়নি শিক্ষার্থীদের। তবে এ নিয়ে কথা হয়েছে।