পারভেজ হত্যা মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে টিনা

রাজধানীর বনানীর প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলায় আলোচিত দুই নারী শিক্ষার্থীর একজন ফারিহা হক ওরফে টিনাকে ৩ দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।

শুক্রবার (৯ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মাহবুব আলম এ আদেশ দেন। এর আগে তাকে আদালতে হাজির করে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা বনানী থানার ইন্সপেক্টর এ কে এম মঈন উদ্দিন ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।  

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত ৮টায় ভাটারা থানাধীন জগন্নাথপুর এলাকা থেকে টিনাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। 

এ হত্যাকাণ্ডে এ পর্যন্ত ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এর মধ্যে দুই আসামি দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। প্রধান আসামি, জবানবন্দি দেওয়া আসামিসহ মোট ৬ জন বর্তমানের কারাগারে আছে। 

জানা যায়, জাহিদুল ইসলাম পারভেজ প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের টেক্সটাইল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। গত ১৯ এপ্রিল বিকাল ৪টার পর বনানীতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ ও টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থীদের মধ্যে সংঘাত শুরু হয়। ওই ঘটনার এক পর্যায়ে ছুরিকাঘাতে জাহিদুল ইসলাম পারভেজ নিহত হন। এ ঘটনার পরের দিন ২০ এপ্রিল পারভেজের ফুফাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের এলএলবি ও ইংরেজি বিভাগের তিন ছাত্র মাহাদী, মেহেরাব, আবুজর গিফারীসহ ৮ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ২০ থেকে ৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বনানী থানায় ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, গত ১৯ এপ্রিল প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ভুক্তভোগী জাহিদুল ইসলাম পারভেজ মিডটার্ম পরীক্ষা দিতে যায়। পরীক্ষা শেষে বন্ধুদের সঙ্গে পুরি-সিংগারার দোকানে আড্ডা ও হাসাহাসি করছিল। বিকাল ৩টায় ১ থেকে ৩ নাম্বার আসামি তার কাছে হাসাহাসির কারণ জানতে চাওয়ায় উভয়ের মাঝে তর্ক শুরু হয়। পরে বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষকসহ প্রক্টর মীমাংসা করেন। বিকাল ৪টা ৪০ মিনিটে এজাহারনামীয় ও অজ্ঞাতনামা আসামিরা চুরি, চাকু, চাপাতি ও লাঠি-সোটা নিয়ে পারভেজ ও তার বন্ধুদের ওপর হামলা করে। এতে পারভেজ মারাত্মক আহত হয়। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে ডাক্তার মৃত ঘোষণা করে।