চাকরিচ্যুতির সময় থেকে এখন পর্যন্ত সম্পূর্ণ বেতন, ভাতা ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা এবং চাকরি পুনর্বহালসহ চার দফা দাবি নিয়ে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা। ৪৫ মিনিটের মধ্যে তাদের দাবি মানা না হলে জাহাঙ্গীর গেটের উদ্দেশে লং মার্চ করবেন।
রবিবার (১৮ মে) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বাংলাদেশ সহযোদ্ধা প্লাটফর্মের (বিসিপি) আয়োজনে ওই অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন তারা।
চাকরিচ্যুত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অন্য তিনটি দাবি হলো–
যদি কোনও সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যের চাকরি পুর্নবহাল করা সম্ভব না হয় তাহলে ওই সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের সরকারি সব সুযোগ-সুবিধাসহ সম্পূর্ণ পেনশনের আওতাভুক্ত করতে হবে; যে আইন কাঠামো ও এক তরফা বিচার ব্যবস্থার প্রয়োগে শত শত সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যকে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে সেই বিচার ব্যবস্থা ও সংবিধানের আর্টিকেল-৪৫ সংস্করণ করতে হবে এবং শনিবার (১৭ মে) গ্রেফতার হওয়া বরখাস্ত সৈনিক নাইমুল ইসলামকে মুক্তি দিতে হবে।
অবস্থান কর্মসূচিতে চাকরিচ্যুত সৈনিক মো. রিপন হোসেন বলেন, তিন বাহিনী মিলিয়ে ৬০০ জনের মতো চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। বাধ্যতামূলক পেনশনে পাঠানো হয়েছে অনেককে। কোর্ট মার্শাল করে চাকরিচ্যুত করা হয়েছে। অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুতি আমরা মানি না।
সাবেক নৌবাহিনীর নাবিক এম বাহাউদ্দিন বলেন, ৪৫ মিনিট সময় দিয়েছি। আমাদের দাবির বিষয়ে আলাপ করতে ক্যান্টনমেন্ট থেকে যদি কেউ না আসে ৪৫ মিনিটের মধ্যে তাহলে আমরা জাহাঙ্গীরগেটের উদ্দেশ্যে লংমার্চ শুরু করবো। এছাড়া আমাদের প্রধান সমন্বয়ক নাইমুল ইসলামকে মুক্ত করতে হবে।
এ সময় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সতর্ক অবস্থানে থাকতে দেখা যায়।