‘ঠিকমত কথা বলতে পারেন না মোশাররফ হোসেন’

সাবেক গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন বয়স্ক, অসুস্থ মানুষ। ঠিকমত ব্যালেন্স দিয়ে কথা বলতে পারেন না বলে জানিয়েছেন তার আইনজীবী তানভীরুল ইসলাম। 

বুধবার (১৮ জুন) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম মিজবাহ উর রহমানের আদালতে গণঅধিকার পরিষদের কর্মী বদরুল ইসলাম সায়মনকে হত্যাচেষ্টা মামলায় রিমান্ড শুনানিতে এ মন্তব্য করেন তিনি।

এর আগে পল্টন মডেল থানার এসআই বিমান তরফদার সাবেক এই মন্ত্রীর ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। 

তিনি বলেন, পুলিশের অনুমতি নিয়ে বিএনপি পল্টনে সমাবেশের আয়োজন করে। বাংলাদেশের ইতিহাসে এটা সর্ববৃহৎ সমাবেশ। সেখানে হামলা চালানো হয়। হাজার হাজার নেতাকর্মী আহতসহ কয়েকজন নিহত হয়। এক পুলিশ সদস্যও নিহত হয়। বাদী গুলিবিদ্ধ হন। ফ্যাসিস্টদের কারণে তখন মামলা দায়ের করা সম্ভব হয়নি। পরে মামলা করেন। আসামিদের রিমান্ড মঞ্জুরের প্রার্থনা করছি।

মোশাররফ হোসেনের পক্ষে তার আইনজীবী তানভীরুল ইসলাম রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। তিনি বলেন, মামলার এজাহারে তার নাম নাই। ২০১৯ সাল থেকে তিনি রাজনীতি থেকে অবসরে যান। তিনি অসুস্থ, বয়স্ক একজন মানুষ। তার বয়স ৮৩ বছর। তার বিরুদ্ধে ১১টা হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। সবগুলো মামলায় তিনি হাইকোর্ট থেকে জামিন পেয়েছেন। যখন কারামুক্ত হবেন ঠিক তখনই তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করা হয়েছে।

এ আইনজীবী বলেন, তিনি ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। তার হার্টে ৫টি রিং পরানো হয়েছে। ঠিকমত ব্যালেন্স দিয়ে কথা বলতে পারেন না। কীভাবে রিমান্ড চাচ্ছে বোধগম্য নয়। তার রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের প্রার্থনা করছি। পরে আদালত তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২৩ সালের ২৮ অক্টোবর শেখ হাসিনা সরকারের গুম-খুন, নিপীড়ন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে সমাবেশ আয়োজন করা হয়। দেশের সব রাজনৈতিক দলের ঐক্যমত্যের ভিত্তিতে বিএনপি ও গণ অধিকার পরিষদসহ অন্যান্য সমমনা রাজনৈতিক দল এই মহাসমাবেশের ডাক দেয়। সেখানে ভুক্তভোগী বদরুল ইসলাম সায়মন অংশ নেন। শান্তিপূর্ণ সমাবেশে আসামিরা অতর্কিতভাবে হামলা করে। এ সময় আসামিদের এলোপাথাড়ি গুলিতে বাদী গুলিবিদ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হয়। 

এ ঘটনায় চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ভুক্তভোগী বদরুল বাদী হয়ে মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ২৪৫ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়।