নেতা চলে যাওয়ার পর ফাঁকা

স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তজেলা পরিবহন চালুর দাবিতে ঈদের দিন শুক্রবার (১৪ মে) সকাল ১০টা থেকে বেলা ১২টা পর্যন্ত বাস টার্মিনালগুলোতে অবস্থান ধর্মঘট ঘোষণা করেছিল মালিক ও শ্রমিকরা। ঘোষণা অনুযায়ী গাবতলী বাস টার্মিনালে কর্মসূচি শুরু হলেও শ্রমিক নেতারা বক্তব্য দেওয়ার পরপরই ফাঁকা হয়ে যায় টার্মিনাল

এর আগে সকাল ১০টার পর বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি শাজাহান খান গাবতলী বাস টার্মিনালে আসেন এবং শ্রমিকদের উদ্দেশে বক্তব্য দেন। এরপর তিনি চলে যান। তার চলে যাওয়ার পর শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও গাবতলী বাস টার্মিনাল এলাকা ত্যাগ করেন। সকাল ১১টার দিকে দেখা যায়, ৭/৮ জন শ্রমিক ও মালিক বসে আছেন।।

বক্তব্য রাখছেন শাজাহান খানসাড়ে ১১টার দিকে দেখা যায়, চেয়ারগুলো ফাঁকা পড়ে আছে। পরে একজন এসে চেয়ারগুলো নিয়ে যান।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ বাস-ট্রাক ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে দূরপাল্লার গণপরিবহন চালুর দাবিতে ঈদের নামাজ শেষে দুপুর ১২টা পর্যন্ত শ্রমিক-মালিকদের অবস্থান কর্মসূচির সময় ধার্য ছিল।

গাবতলী বাস টার্মিনালে অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সুবর্ণ পরিবহনের মালিক লাভলু বলেন, ‘আমাদের অনুষ্ঠান শেষ। তবে ১২টা পর্যন্ত অবস্থান করার কথা থাকলেও অনেকেই চলে গেছেন। আমরাই বসে আছি, কিছুক্ষণ পর চলে যাবো।’

গাবতলী টার্মিনালে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের অবস্থান কর্মসূচিমালিক-শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা যায়নি কোনও শ্রমিককে। কয়েকজন অভিযোগ করে বলেন, নেতাদের সঙ্গে যারা এসেছেন, তারা কেউই শ্রমিক না। তারা অনেকেই বহিরাগত। আজ তারা এসেছেন শুধু নেতাদের মুখ দেখাতে।