বাংলা ট্রিবিউন: আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক জাতীয় সম্মেলন পিছিয়ে গেল কেন?
ফরিদুন্নাহার লাইলী: আওয়ামী লীগ সব সময় সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনা করে রাজনীতি করে। গণমানুষ আওয়ামী লীগের প্রাণ। ঈদুল ফিতরের পর পরই আওয়ামী লীগের সম্মেলন পড়ে যায়। অর্থাৎ ১০/১১ জুলাই ছিল আওয়ামী লীগের সম্মেলন। মানুষ বাড়ি যাবে, আবার বাড়ি থেকে ফিরবে। এই সময়ে যদি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয় মানুষের ঢাকায় ফেরা নিয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হবে। এটা ভেবেই মূলত পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে সম্মেলনের নির্ধারিত তারিখ।
বাংলা ট্রিবিউন: আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী নেতৃত্ব যথেষ্ট মনে করেন কি না?
ফরিদুন্নাহার লাইলী: আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সব সময় নারীবান্ধব। নারী ক্ষমতায়নে কী কী কাজ করা যায়, সবসময়ই তা ভাবেন তিনি। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটিতে নারী নেতৃত্ব যথেষ্ট রয়েছে। শুধু তাই নয়, প্রত্যেক নারী তাদের দায়িত্ব পালন করছেন যথাযথভাবে। আওয়ামী লীগ তেমন দল নয় যে, নারীদের শুধু আলঙ্কারিক পদ দিয়ে বসিয়ে রাখে। এখানে যার যার দায়িত্ব অনুযায়ী কাজও করতে হয়।
বাংলা ট্রিবিউন: আগামী সম্মেলনে নারীর অংশগ্রহণ কি আরও বাড়বে?
ফরিদুন্নাহার লাইলী: অবশ্যই নারী নেতৃত্ব বাড়বে। প্রত্যেক সম্মেলনেই আওয়ামী লীগে নারী নেতৃত্ব বাড়ে। আওয়ামী লীগ সর্বস্তরে ৩৩ শতাংশ নারীর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে বদ্ধপরিকর।
বাংলা ট্রিবিউন: বাংলাদেশের রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ কম না বেশি?
ফরিদুন্নাহার লাইলী: যে দেশে প্রধানমন্ত্রী নারী, বিরোধী দলীয় নেতা, স্পিকার, সংসদ উপনেতা সবাই নারী, সে দেশে নারীর অংশগ্রহণ কম না বেশি প্রশ্নটা এক রকম অবান্তর। তবু আমি মনে করি রাজনীতিতে নারীর অংশগ্রহণ আরও বাড়ানো উচিত। কারণ নারী নিজেদের যোগ্যতা, গুণে আজ সমাজে মর্যাদার আসনে আসীন।
/এমএনএইচ/